বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল ১০ হাজার কোটি টাকা

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১৮:৪০

কেবল টাকার অঙ্কে নয়, খেলাপি বেড়েছে শতকরা হিসেবেও। সব মিলিয়ে মার্চ শেষে বিতরণ করা ঋণের ৮.৫৩ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিতরণ করা ঋণের ৭.৯৩ ছিল খেলাপি। অর্থাৎ ০.৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণ বেড়েছে তিন মাসে।

খেলাপি ঋণ কমানো নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে গত তিন মাসে অনাদায়ী এই ঋণ বাড়ল আরও ১০ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।

২০২০ ও ২০২১ সাল জুড়ে কয়েক দফায় করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কোনো ঋণ পরিশোধ না করে কিংবা সামান্য পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ ছিল। এ ধরনের বিভিন্ন সুবিধার বেশিরভাগই শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এর পরপরই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

মার্চে এসে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বেড়েছে ১০ হাজার ১৬৭ কোটি ৮ লাখ টাকা।

এই তিন মাসে ঋণ স্থিতি বেড়েছে ২৭ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

কেবল টাকার অঙ্কে নয়, খেলাপি বেড়েছে শতকরা হিসেবেও। সব মিলিয়ে মার্চ শেষে বিতরণ করা ঋণের ৮.৫৩ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিতরণ করা ঋণের ৭.৯৩ ছিল খেলাপি। অর্থাৎ ০.৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণ বেড়েছে তিন মাসে।

২০২০ সাল থেকে দফায়-দফায় খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা বাড়ানো হয়। এখন অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো গেলেও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ঋণ শোধ করছেন না। ব্যাংকগুলো নানা উপায়ে চেষ্টা করেও তাদের থেকে টাকা আদায় করতে পারছে না।

২০২১ সালে ঋণের ১৫ শতাংশ পরিশোধ হলেও তা নিয়মিত দেখানো হয়। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কেউ এ হারে টাকা দিলেও ব্যাক ডেটেও নিয়মিত থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালে এক টাকা না দিলেও কেউ খেলাপি হয়নি। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রথমে এ সুবিধা দেয়া হয়। পরে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে সময় বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর করা হয়।

২০২১ সালের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ঋণ পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুবিধা আর বাড়বে না।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্ষতির মুখে পড়ার কথা বলে এরই মধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কেউ ঋণ পরিশোধ না করলেও খেলাপি না করার দাবি জানিয়েছে।

খেলাপির হার সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে

মার্চ শেষে রাষ্ট্রীয় সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ও বেসিকে এ ছয় ব্যাংকের মোট ঋণ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২০ দশমিক ০১ শতাংশ।

ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় ছয় ব্যাংক মোট ঋণ দিয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৪৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ১৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।

তিন মাসে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা।

টাকার অঙ্কে খেলাপি বেশি বেসরকারি ব্যাংকে

বেসরকারি ব্যাংকগুলো মার্চ পর্যন্ত ঋণ দিয়েছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫৭ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ খেলাপি হয়ে আছে।

গত বছর ঋণ ছিল ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ৫১ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।

বিশেষায়িত তিন ব্যাংক

বিশেষায়িত কৃষি, প্রবাসীকল্যাণ ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন এ তিনটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা। এ অঙ্ক তাদের বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ০১ শতাংশ। তারা বিতরণ করেছে মোট ৩৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকার ঋণ।

তিন মাসে আগে ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ০২ শতাংশ। এ সময়ে তিন ব্যাংক মোট ৩৩ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

বিদেশি নয় ব্যাংক

বিদেশি মালিকানার নয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলো মোট ঋণ দিয়েছে ৬৩ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা।

ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ২ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর