গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখেছে আঞ্চলিক পরাশক্তি তুর্কিয়ে।
দুই মহাদেশ বিস্তৃত দেশটিতে মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৭৩ শতাংশ।
প্রেস টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, খাদ্য ও জ্বালানির দামের ধারাবাহিক বৃদ্ধিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে তুর্কিয়েতে।
শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি ডেটা অনুযায়ী, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে যাতায়াত, খাদ্যপণ্য ক্রয় ও ঘরবাড়ি সাজানোর উপকরণের ব্যয়। মে মাসে যাতায়াতে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে ১০৭.৬ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯১.৬ শতাংশ।
তুর্কিয়েতে ১৯৯৮ সালে কূটনৈতিক সংকটের সময় ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায়। এরপর দেশটিতে পণ্য কিনতে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হয়েছে চলতি বছরের মে মাসে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দুই দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা তুর্কিয়ের বাজারে। এর বাইরে করোনাভাইরাস মহামারিও দেশটিতে পণ্যমূল্য বাড়িয়েছে।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ তুর্কিয়েতে মুদ্রাস্ফীতি ৭০ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তুর্কিয়ের ডেটা প্রকাশের আগে বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটির অর্থনীতিবিদদের এক বার্তায় বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রার দরপতনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাসের চেয়েও চ্যালেঞ্জিং মুদ্রাস্ফীতি দেখবে তুর্কিয়ে।
সিটির অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ডলার ও প্রভাবশালী অন্য মুদ্রার বিপরীতে তুর্কিংয়ের মুদ্রা লিরার অবনমন দেশটির মুদ্রাস্ফীতিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের এক ডলার সমান ১৬.৪৯ তুর্কিয়ে লিরা। দুই বছর আগে এক ডলার কিনতে ব্যয় করতে হতো প্রায় ৬ লিরা।