বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চালের বাজার: এক দিনে আট বিভাগে জরিমানা ১০ লাখের বেশি

  •    
  • ২ জুন, ২০২২ ২২:১৭

গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মার্কেটে অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এসব অভিযানে চাল ব্যবসার লাইসেন্স আছে কি না এবং অনুমোদনের বেশি মজুত করা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে খাদ্য অধিদপ্তরের চলমান অভিযানে বৃহস্পতিবার আট বিভাগের ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জরিমানা করা হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলায়, ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের মাদারীপুরে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় হয়েছে ২০ হাজার টাকা। আর ফরিদপুরের চকবাজার, মধুখালী ও সালথায় অভিযানে জরিমানা আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা।

খুলনা বিভাগের বাগেরহাটে একটি প্রতিষ্ঠানকেই জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার বাকলিয়া ও বন্দর এলাকার তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে ১৮ হাজার টাকা, বান্দরবানের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা, খাগড়াছড়ির আটটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা, ফেনীতে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা, লক্ষ্মীপুরে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার টাকা, কুমিল্লার তিন প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা।

রাজশাহীর বগুড়ার সাবগ্রাম ও পীরগাছায় ৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে তিনটি চালের দোকানকে জরিমানা করা হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। নাটোরে একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনটি রাইস মিলকে ১৪ হাজার টাকা, জয়পুরহাটে ছয় খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৫ হাজার টাকা এবং নওগাঁর ১২টি অভিযানে মোট জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে জয়পুরহাটে ছবির ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগের রংপুর সদরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং পীরগঞ্জে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দেশের বাজারে কয়েক দিন ধরেই চালের দাম চড়া। অভিযোগ আছে, মিলাররা ধান-চাল মজুত করে রাখছেন। মিলারদের পাশাপাশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনের নীতি অনুমোদনের বাইরে গিয়ে ধান-চালের ব্যবসায় নেমেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে চালের বাজারে অভিযান শুরু করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মার্কেটে অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এসব অভিযানে চাল ব্যবসার লাইসেন্স আছে কি না এবং অনুমোদনের বেশি মজুত করা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফুড গ্রেইন লাইসেন্স যাচাইয়ের পাশাপাশি খাদ্যশস্যের ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদও যাচাই করে দেখছেন অভিযান পরিচালনাকারীরা।

একই সঙ্গে মিলগেটে কী মূল্যে চাল বিক্রি হচ্ছে, তা দেখা হচ্ছে।

রাজধানীতে গত দুদিনের অভিযানে দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অভিযান শুরুর পরই দোকান বন্ধ করে বা ফাঁকা রেখে সরে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদেরও অনেকে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সে ব্যবসা করছেন।

খুচরা বা পাইকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা কী পরিমাণ মজুত রাখতে পারবেন, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই ব্যবসায়ীদের। আবার ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার কারণে দোকানে কী পরিমাণ মজুত আছে তার কোনো সঠিক হিসাব পাননি অভিযানে নামা কর্মকর্তারা।

এর মধ্যেই বুধবার সাংবাদিকদের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, খোলাবাজার থেকে চাল কিনে তা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা যাবে না।

দেশের বাজারে চালের আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য ছয়টি শিল্প গ্রুপ স্কয়ার, প্রাণ, সিটি, আকিজ, বসুন্ধরা ও এসিআইকে দায়ী করেন মন্ত্রী।

এই ছয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে সাধন চন্দ্র বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি যে এই সার্কুলার জারি করা যায় কি না, যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবেন তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবেন না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবেন। এটা আলোচনা চলছে।’

চালের অবৈধ মজুতের তথ্য জানতে এরই মধ্যে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তিনটি ফোন নম্বরের মাধ্যমে যে কেউ চালের অবাধ মজুত সম্পর্কে জানাতে পারবেন। তথ্য জানাতে +৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে ফোন করে তথ্য দিতে অনুরোধ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

এ বিভাগের আরো খবর