বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাকার মান কমল আরও ৯০ পয়সা

  •    
  • ২ জুন, ২০২২ ২০:০৭

চলতি বছরে আট দফা কমানো হলো টাকার মান। এর আগে ২৯ মে ডলারের একক দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেদিন টাকার মান ১ টাকা ১০ পয়সা কমিয়ে ডলারের বিপরীতে দর নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা।

ডলারের বিপরীতে টাকার মানের অবনমন অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ দফায় ৯০ পয়সা কমে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি বছরে আট দফা কমানো হলো টাকার মান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে ওভাবে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ (বৃহস্পতিবার) ১৩৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা ডলারের দর ছিল ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা। সে হিসাবে আজ আন্তঃব্যাংক বিক্রির রেট ছিল এটা। এভারে দর মূল্যায়ন করা হয়েছে।’

চলতি বছরে জানুয়ারির শুরুতে ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২৩ মার্চ ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা দর নির্ধারণ করা হয়। ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় আরও ২৫ পয়সা। তখন ১ ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। ৯ মে ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

এরপর ১৬ মে বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বড় অবমূল্যায়ন করা হয় টাকার। সেদিন টাকার মান ৮০ পয়সা কমিয়ে ডলারের বিপরীতে দর নির্ধারণ করা হয় ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর ২৩ মে টাকার মান আরও ৪০ পয়সা কমিয়ে দর নির্ধারণ করা হয় ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা।

অবশ্য খোলাবাজারে ডলার কিনতে গেলে এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। টাকার মান আরও কমবে- এমন ধারণা ছড়িয়ে পড়ার পর ১০৪ টাকাতেও ডলার কেনার ঘটনা প্রকাশ পায়। অনেকেই অতিরিক্ত মুনাফার আশায় ডলার কিনতে শুরু করেন।

তবে বিদেশ যাত্রায় সরকার লাগাম পরানোর পর খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা কিছুটা কমে আস। দামও কমে ৯০ এর ঘরে চলে এসেছে।

মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কিনতে সোমবার ৯৮ দশমিক ২০ টাকা গুনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এর আগে ১৭ মে খোলা বাড়ারে ডলারের দাম ১০২ টাকায় উঠেছিল।

দাম বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রিও করেছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৫৫০ কোটি ডলার বাজারে ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এক রেট উঠিয়ে নেয়া

অস্থির ডলারের বাজার ঠেকাতে ব্যাংকে ডলারের একক রেট বেঁধে দেয়া হয়। ২৬ মে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২৯ মে রোববার ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার রেকর্ড ১ টাকা ১০ পয়সা কমিয়ে ৮৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানি পর্যায়ে ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা, আর প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য দাম বেঁধে দেয়া হয় ৮৯ টাকা ২০ পয়সা।

চার দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার তাও তুলে নিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে তারা নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।

একক রেট উঠিয়ে দেয়ার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন, ‘ব্যাংকগুলো বলেছে যে রেমিট্যান্স যারা পাঠাচ্ছে তারা ডলারের এই রেট ঠিক নয় বলে মনে করছে। এজন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারের ওপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলো ডলার দর নির্ধারণ করবে।’

ডলারের একক দর নির্ধারণের পর কমে যায় প্রবাসী আয়। সদ্যসমাপ্ত মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার (১.৮৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা; যা আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ কম।

রপ্তানিকারকরাও বেঁধে দেয়া দামে রপ্তানি বিল নগদায়ন করছেন না। এতে আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে সংকটে পড়ে কয়েকটি ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন। এ সময় এবিবি’র পক্ষ থেকে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরলে ডলারের দর সীমা তুলে দেয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিভাগের আরো খবর