বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডলারে একক রেট: চার দিনেই পিছু হটল বাংলাদেশ

  •    
  • ২ জুন, ২০২২ ১৫:১০

কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো- সেটির কারণ ব্যাখ্যা করে ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বলেছে, রেমিট্যান্স যারা পাঠাচ্ছে তারা ডলারের এ রেট ঠিক নয় বলে মনে করছে। এজন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারের উপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলো ডলার দর নির্ধারণ করবে।’

ব্যাংকে ডলারের একক রেট বেঁধে দেয়ার চার দিনের মাথায় তা প্রত্যাহার করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত রোববার ব্যাংকে ডলারের একক রেট ৮৯ টাকা বেধে দেয়ার পর প্রবাসী আয়ে ভাটা ও রপ্তানিকারকরা বিল নবায়ন না করার পর বৃহস্পতিবার আগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে তারা নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।

বিষয়য়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ও চাহিদা বিবেচনায় ডলারের দাম ঠিক করবে। আজ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।’

কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো- সেটির কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বলেছে, রেমিট্যান্স যারা পাঠাচ্ছে তারা ডলারের এ রেট ঠিক নয় বলে মনে করছে। এজন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারের উপর নির্ভর করে ব্যাংকগুলো ডলার দর নির্ধারণ করবে।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তবে হঠাৎ যেন ডলারের দাম বেশি বাড়িয়ে না ফেলা হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো যাতে দাম বেশি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাজারমূল্যে নির্ধারণ হওয়ায় আমদানিতেও একইভাবে ডলারের দাম নির্ধারণ হবে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় নগদায়ন হবে বাজারমূল্যে। ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, বিক্রি করবে তার চেয়ে কিছু বেশি দামে।’

ডলারের দাম বাড়তে থাকায় গত রোববার দাম বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্ত:ব্যাংক লেনদেন ডলার রেট ছিল ৮৯ টাকা। আমদানি পর্যায়ে ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। আর প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৮৯ টাকা ২০ পয়সা।’

কিন্তু এ দাম নির্ধারণের পর কমে যায় প্রবাসী আয়। রপ্তানিকারকেরাও বেঁধে দেওয়া দামে রপ্তানি বিল নগদায়ন করছেন না। এতে আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে সংকটে পড়ে কয়েকটি ব্যাংক।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন। এ সময় বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। তাতেই ডলারের দামের সীমা তুলে দেয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

একক রেট বেঁধে দেয়ার আগ পর্যন্ত কোনো কোনো ব্যাংক ৯৮ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। কেউ কেউ ৯৩ টাকা, কেউ বা ৯৫ টাকা নিয়েছে ডলারের বিপরীতে।

খোলা বাজারে ডলারের দাম সম্প্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য তা কমে ১০০ টাকার নিচে নামে।

ডলারের বিপরীতে মূদ্রার অবমূল্যায়নের বিষয়টি কেবল বাংলাদেশে নয়, দেশে দেশেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে সবচেয়ে কম।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ও ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই বিপাকে পড়েছে সারা বিশ্ব। এর মধ্যে ডলারের বিপরীতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটিও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

এ বিভাগের আরো খবর