তরল দুধসহ দুগ্ধজাত ১১ পণ্যের দাম বাড়িয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড-মিল্ক ভিটা। বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে পণ্যের এই নতুন মূল্য কার্যকর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে, গত ১৫ মে পাস্তুরিত তরল দুধের দাম বাড়িয়েছে আড়ং, আকিজ ডেইরিসহ কয়েকটি বেসরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানিগুলোর আধা লিটারের প্যাকেট আগের চেয়ে ৭ টাকা বেশি দামে ৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ১০ টাকা বাড়িয়ে এক লিটারের প্যাকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ টাকা।
প্রতি লিটার মিল্ক ভিটা দুধের প্যাকেট কিনতে ৫ টাকা বাড়তি ব্যয় করতে হবে ভোক্তাদের। আগের ৭৫ টাকা মূল্যের এক লিটার প্যাকেটের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। আধা লিটার প্যাকেটের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা থেকে ৪৫ করা হয়েছে। ২৫০ মিলি প্যাকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা; যা এতদিন বিক্রি হয়েছে ২২ টাকায়।
বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লি. (মিল্ক ভিটা) -এর মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. মইনুল হক চৌধুরী নিউজবাংলাকে নতুন দামের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গোখাদ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদনসহ সরবরাহ খরচও বেড়েছে। এ ছাড়া বাজারের সঙ্গে বাস্তবতার নিরিখে সমন্বয় করতে দাম বাড়ানো হয়েছে।’
মিল্ক ভিটা পাস্তুরিত তরল দুধ, টোন্ড মিল্ক, ফ্লেভার্ড মিল্ক, ঘি, মাখন, ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ, ননিবিহীন গুঁড়া দুধ, মিষ্টি দই, টক দই, রসগোল্লা, সন্দেশ, চিজ, কেকসহ ২২ ধরনের পণ্য বাজারজাত করে আসছে। এসব পণ্যের মধ্যে ১১টি ধরনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ওই বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্তকরণে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।
গত ১৩ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মিল্ক ভিটার পণ্যের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।