নারী উদ্যোক্তা ও কর্মজীবী নারীর জন্য আসন্ন বাজেটে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দসহ উৎসাহব্যঞ্জক উদ্যোগ থাকতে হবে। একইসঙ্গে সেসব উদ্যোগ কার্যকর করতে হবে।
প্রচলিত এবং অনলাইনে ব্যবসায় কর ছাড়, সব ক্ষুদ্র ও এসএমই উদ্যোক্তার ঋণপ্রাপ্তি সহজীকরণ এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে একক সংস্থা গঠনে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার ‘নারী উদ্যোক্তার বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিলে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উই- উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স এবং একাত্তর অর্থযোগ।
উই-এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আকতার নিসার সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনাটি যুগ্মভাবে সঞ্চালনা করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা ও একাত্তর অর্থযোগ উপস্থাপক জুলিয়া আলম। বক্তব্য দেন নারী উদ্যোক্তা নেত্রী প্রীতি চক্রবর্তী, ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, মেহেরুন এন ইসলাম ও তৌহিদা সুলতানা রুনু।
নারী উদ্যোক্তাদের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধাগুলো নিয়ে বিশ্লেষণী উপস্থাপনা করেন অর্থনীতিবিদ পারিসা শাকুর এবং তাহরিন তাহরিমা চৌধুরী।
গোলটেবিলে বিশেষ বক্তব্য দেন এনবিআর-এর সাবেক সদস্য শাহনাজ পারভীন, ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি শারমিন রিনভী এবং একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার কাবেরী মৈত্রেয়ী।
বাজেটে বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির অবসান চান নারী উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কর ছাড়, অর্থের যোগান নিশ্চিতকরণ ও দক্ষতা উন্নয়নে একক সংস্থা গঠনের দাবি জানান তারা।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, অর্থনীতিতে নারীর অবদান বাড়াতে উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নেই। প্রতি বছর বাজেটে নারীদের জন্য থোক বরাদ্দ দেয়া হলেও তার সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। কারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে উদ্যোক্তা তৈরির কোনো ব্যবস্থা নেই। ঋণপ্রাপ্তিতেও নারীরা পিছিয়ে আছে।
তারা বলেন, সমাজ বিনির্মাণে পুরুষের সমান তালে পথ চলছেন নারীরা। তারপরও সামাজিক ট্যাবু, বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, আর্থিক সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত ধারণা ও দক্ষতার অভাবে উদ্যোক্তা হিসেবে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে।
উদ্যোক্তারা জানান, প্রতিবছর বাজেটে নারীদের জন্য আলাদা বরাদ্দ দেয়া হলেও সে অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিতসহ কর্মসংস্থানে অংশীদারত্ব বাড়াতে বিশেষ নীতির আহ্বান জানান তারা।
উদ্যোক্তারা উল্লেখ করেন, নারী বলে বিশেষ সুবিধা চান না তারা। তবে বৈষম্যের অবসান চান। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর ক্রমবর্ধমান অবদান বিবেচনায় তারা এখন বেশি গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে।