বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইডিআরএ চেয়ারম্যানের আরও একটি কোম্পানির খোঁজ

  •    
  • ১ জুন, ২০২২ ২৩:২৬

মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণের পাশাপাশি তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ৫টি ব্যাংক একাউন্টে মোট ৩০টি হিসাব পরিচালনার তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেনের আরও একটি নামসর্বস্ব কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

ওই কোম্পানির নাম কাশফুল ডেভেলপারস লিমিটেড বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে হাইকোর্টে বিএফআইইয়ের জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণের পাশাপাশি তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ৫টি ব্যাংক একাউন্টে মোট ৩০টি হিসাব পরিচালনার তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ।

রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন এবং পার্টিকুলার্স অব ডাইরেক্টর (ফরম-XII) এর সার্টিফাইড কপি অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৯ মে পর্যন্ত মোশাররফ হোসেন কাশফুল ডেভেলপারস লিমিটেডের পরিচালক পদে ছিলেন। এখানেও তিনি আগের দুটি কোম্পানির মতো কর্মচারীদের কল্যাণে গ্রাচুইটি ফান্ড এবং প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করেন।

পাশাপাশি ফান্ড দুটি পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়, যার চেয়ারম্যান হন তিনি নিজে, সেক্রেটারি তার স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া এবং অন্যতম সদস্য ড. মোশাররফের শাশুড়ি লাভলি ইয়াসমীন।

ইতোমধ্যে এই দুটি ফাণ্ডের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কোটায় আইপিও শেয়ারে বিনিয়োগের তথ্যও পাওয়া গেছে।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোশাররফের সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে।

বুধবার আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে আগামী ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ ধারায় স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদের হিসাব দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. এজারুল হক আকন্দের দ্বৈত বেঞ্চে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর ১৬ জুন শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

মোশাররফের বিরুদ্ধে দুটি কোম্পানি গঠন করে সেগুলোর নামে প্রভিডেন্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড গঠন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৪ কোটি টাকার বেশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানে ৫০ টাকার বিপক্ষে ১০ টাকা হারে ও স্পন্সর শেয়ারে সন্দেহজনক লেনদেন, আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনসহ দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ হাইকোর্টের নজরে এনে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন করা হয়।

শুনানি শেষে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বিএফইইউকে নির্দেশ দেয়।

মোশাররফের এসব অনিয়মের বিষয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ তাদের ডেটাবেজে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করে।

মোশাররফ ২০১৮ সালের মে মাসে আইডিআরএর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বিমার শেয়ারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে বারবার আলোচনা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর একই বিষয় আবার আলোচনায় উঠে আসে।

এ বিভাগের আরো খবর