রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকের ন্যায্য দর পেতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা।
পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার জেনেভায় আইএলওর সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাপরিচালক গাই রাইডারের সঙ্গে বৈঠকে এ সহযোগিতা চেয়েছেন।
বিজিএমইএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয় নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে ন্যায্য দর অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে সুতা, বিভিন্ন রাসায়নিক এবং অন্যান্য কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে; শিপিং চার্জও বেড়েছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিক বেড়েছে। কিন্তু ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
আইএলওসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে তৈরি পোশাকের ন্যায্য মূল্য ইস্যুতে ক্রেতাদের উপর নৈতিক চাপ তৈরির অনুরোধ করেন তারা।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ইয়ার্ন, কেমিক্যালস এবং অন্যান্য কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি এবং শিপিং চার্জের বৃদ্ধির কারনে উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়েছে, অথচ ক্রেতাদের অফার করা মূল্যে সেই বাস্তবতা ও যৌক্তিকতা প্রতিফলিত হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে আইএলওর মহাপরিচালকের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন অব বাংলাদেশের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির, নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএর আইএলও বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এএনএম সাইফুদ্দিন ও বিইএফর মহাসচিব ফারুক আহমেদ।
বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আইএলও মহপরিচালককে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনার কথা অবহিত করেন। পোশাক শিল্পের নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমমান উন্নয়ন ও পরিবেশসম্মত টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তারা।
এ সময় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন অর্জনের কথাও মহাসচিবকে অবহিত করেন তারা।