বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় চালের বাজারে অভিযান

  •    
  • ১ জুন, ২০২২ ১৩:২১

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মর্জিনা আক্তার জানান, অভিযানে চাল ব্যবসার লাইসেন্স আছে কি না, অনুমোদনের বেশি মজুত করা আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। এতে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স যাচাইয়ের পাশাপাশি খাদ্যশস্যের ক্রয়-বিক্রয় রশিদ চাওয়া হবে বিক্রেতাদের কাছে।

অনুমোদনের অতিরিক্ত চাল মজুত, অতিরিক্ত মূল্যে পণ্যটি বিক্রিসহ নানা অনিয়ম রোধে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও পুরান ঢাকার বাবুবাজারে অভিযান শুরু করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

কারওয়ান বাজার

কিচেন মার্কেটে চালের আড়তগুলোতে বুধবার দুপুর ১২টার পর অভিযান শুরু হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মর্জিনা আক্তার এতে নেতৃত্ব দেন।

অভিযানের শুরুতে তিনি জানান, অভিযানে চাল ব্যবসার লাইসেন্স আছে কি না, অনুমোদনের বেশি মজুত করা আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। এতে ফুড গ্রেইন লাইসেন্স যাচাইয়ের পাশাপাশি খাদ্যশস্যের ক্রয়-বিক্রয় রশিদ চাওয়া হবে বিক্রেতাদের কাছে। একই সঙ্গে মিল গেটে কী মূল্যে চাল বিক্রি হচ্ছে, তা দেখা হবে।

উপসচিব আরও জানান, খুচরা-পাইকারি বিক্রেতার কাছে ক্যাশ মেমো চাওয়া হবে। খুচরা মূল্য তালিকা দেখাতেও বলা হবে।

অভিযান শুরুর বেশ কিছুক্ষণ পর আড়তের মালিকরা সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেন মর্জিনা আক্তার।

তিনি বলেন, ‘চারটা দোকান ঘুরেছি, কোনোটার লাইসেন্স ঠিক পাওয়া যায়নি। চালের মজুতের হিসাবে গরমিল রয়েছে। আর আমরা অভিযান শুরুর পর অনেক ব্যবসায়ী দোকান ফেলে চলে গেছে।’

এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মর্জিনা জানান, বাজারে কেন অস্থিরতা, তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি খাদ্য মন্ত্রণালয়। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, বড় বড় আড়তের মালিকরা চাল মজুত করছেন।

কারা চাল মজুত করছে, তা খুঁজে বের করতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের জানানো হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

বাবুবাজার

সবচেয়ে বড় পাইকারি চালের বাজারে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান শুরু হয়।

তিন সদস্যের আভিযানিক দল বাদামতলী সংলগ্ন দোকানগুলোতে মনিটরিং করে। প্রথম দোকানেই দলটি ফুড গ্রেইন লাইসেন্স পায়নি।

প্রেক্ষাপট

চালের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সোমবার চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কেউ অবৈধভাবে চাল মজুত করলে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ আছে, মিলাররা ধান-চাল মজুত রাখছেন। একইভাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনের নীতি অনুমোদনের বাইরে গিয়ে ধান-চালের ব্যবসায় নেমেছে।

তারা প্যাকেটজাত আকারে সেগুলো বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক বাড়তি দামে বিক্রি করছে। এতে চালের ক্রয়ক্ষমতা ভোক্তার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর