দেশে পণ্য আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। আমদানির লাগাম টানতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপেও কাজ হচ্ছে না। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে এলসি খোলার পরিমাণ।
করোনা সংকট কেটে যাওয়ার পর থেকেই আমদানিতে উল্লম্ফন শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। এতে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের উপর চাপ পড়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৭ হাজার ৬৬৫ কোটি ১৫ লাখ (৭৬.৬৫ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খুলেছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন) চেয়েও ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। আর একই সময়ের চেয়ে বেশি ৪৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বর্তমান বিনিময় হার হিসেবে (প্রতি ডলার ৮৯ টাকা) টাকার অঙ্কে চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৮৫কোটি টাকার এলসি খুলেছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এই অঙ্ক চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। আর নতুন বাজেটের চেয়েও বেশি।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট উপস্থাপন করবেন তার সম্ভাব্য আকার পৌণে ৭ লাখ কোটি টাকার মতো হবে বলে গণমাধ্যমে যে তথ্য এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার পণ্য আমদানির এলসি-সংক্রান্ত হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ১০ মাসে গড়ে ৭ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
অস্বাভাবিক এই আমদানির লাগাম টেনে ধরতে বিলাস পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত এলসি মার্জিন আরোপসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও তেমন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বেড়েই চলেছে আমদানি। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। সামাল দিতে সবশেষ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরেক দফা কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ দফায় এক ধাক্কায় টাকার মান ১ টাকা ১০ পয়সা কমিয়ে সব ব্যাংকের জন্য ডলারের একক দর ৮৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই পণ্য আমদানির এলসি খুলতে এমন উল্লম্ফন দেখা যায়নি। আর এতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও চাপের মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আমদানির লাগাম টানার পরামর্শ দিচ্ছিলেন অর্থনীতিবিদরা।
আমদানি কমাতে প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হয় ১৭ এপ্রিল। ওই দিন এক সার্কুলারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানি ছাড়া অন্য সকল পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের (এলসি) নগদ মার্জিন হার নূন্যতম ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়।
এরপর ১০ মে বিলাস পণ্য আমদানি কমাতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে আরেকটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সার্কুলারে বলা হয়, সকল ধরনের মোটরকার, হোম অ্যাপ্লায়েন্স হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে অতি জরুরি পণ্য ছাড়া অন্য সকল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।
একইসঙ্গে আমদানি ব্যয়ের লাগাম টানতে ব্যয় সংকোচনের পথ বেছে নেয় সরকার। অতি প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের কর্তাদেরও বিদেশ সফর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানিনির্ভর প্রকল্পের বাস্তবায়ন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
এসব পদক্ষেপের বেশিরভাগই নেয়া হয়েছে চলতি মাসে। সে হিসাবে মে মাসের এলসির তথ্য পাওয়া গেলে বোঝা যাবে আমদানি কমার ক্ষেত্রে এ সব পদক্ষেপ কতটা কাজে দিয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লাগামহীন আমদানিতে বেশ চাপে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি ভারসাম্যের ঘাটতি (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) ১৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অস্থির হয়ে উঠেছে ডলারের বাজার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৬ বিলিয়ন ডলার বাজারে ছাড়া হয়েছে। কিন্তু আমদানি বাড়ায় তারপরও চাহিদা মিটছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকেই আমদানি ব্যয়ের লাগাম টানার কথা বলে আসছিলাম। কিন্তু কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু দেরিতে। সে কারণেই ডলারের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এখন দেখা যাক, সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে আমদানি কমে কিনা।
‘সাধারণভাবে অর্থনীতিতে আমদানি বাড়াকে ইতিবাচকভাবে দেখা হয়ে থাকে। বলা হয়, আমদানি বাড়লে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়বে। এতদিন আমরাও সেটা বলে আসছি। কিন্তু এখন অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। ৪৪/৪৫ শতাংশ আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা আমাদের অর্থনীতির নেই। এখন এটা কমাতেই হবে। তা না হলে আরও বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়ব আমরা।’
আহসান মনসুর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় সরকারের জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে গ্যাসে ভর্তুকি বেড়েছে, সারে বেড়েছে। বিদ্যুতে বেড়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার ভর্তুকি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বাজেট ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের চাপ পড়বে।’
‘একইসঙ্গে খাদ্যপণ্যসহ শিল্পের কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারি সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণেও আমদানিতে বেশি খরচ হচ্ছে।’
এমন পরিস্থিতিতে করণীয় জানাতে গিয়ে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা আহসান মনসুর বলেন, ‘সরকারকে সাশ্রয়ী হতে হবে। একই সঙ্গে দেশের মানুষকেও সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কম খরচ করতে হবে। আমাদের অনেক কিছুই কিন্তু জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। গ্যাস, বিদ্যুৎ, সার, পানি এসব উৎপাদনে তেলের প্রয়োজন হয়। এই সংকটের সময়ে এসব যেনো মানুষ কম ব্যবহার করে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
‘পরিবহন খাতে যদি জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমানো যায়, তাহলে আমদানি খাতে খরচ কমবে। সরকারের ভর্তুকি কমবে। অন্যদিকে বিলাসবহুল পণ্য যাতে কম আমদানি হয়, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজন নেই এমন পণ্য আমদানি থেকে এখন বিরত থাকতে হবে।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমদানির লাগাম টানতে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি মনে করি, এ সব ভালো সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে পণ্য আমদানির আড়ালে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।’
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘রপ্তানি বাড়ছে। এটা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করতেই হবে আমাদের। এখন বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে আমদানি না হয়, সেদিকে সরকারকে কঠোর হতে হবে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল তেলের দাম; একপর্যায়ে প্রতি ব্যারেলের দর ১৩৯ ডলারে গিয়ে ঠেকেছিল। গত দুই মাস বিশ্ববাজারে তেলের দর নিম্নমুখী ছিল ১১০ থেকে ১১৪ ডলারের মধ্যে ছিল। কিন্তু সপ্তাহ খানেক হলো তা ফের বাড়তে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল ১২৪ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেল বিক্রি হয়েছে ১১৮ দশমিক ২০ সেন্টে।
বেশি ব্যয় পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানির জন্য ৬ হাজার ৭০৪ কোটি (৬৭.০৪ বিলিয়ন) ডলারের এলসি খুলেছিলেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। ওই অঙ্ক ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল সময়ে এলসি খুলতে সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা খরচ হয়েছে রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পের কাঁচামাল কাপড় ও অন্য পণ্য আমদানিতে। এর পরিমাণ ১ হাজার ৮২ কোটি ১০.৮২ বিলিয়ন) ডলার, গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৪২ শতাংশ বেশি।
সুতা আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ৪২২ কোটি ডলারের; প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ, ৮২ শতাংশ। তুলা ও সিনথেটিক ফাইবার আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ৩৭৪ কোটি ডলারের। বেড়েছে ৩৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
রাসায়নিক দ্রব্য ও সার আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৪৬৫ কোটি ২৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া ওষুধের কাঁচামালের এলসি খোলা হয়েছে ১০০ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের; বেড়েছে ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানির জন্য ৬৯৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের এলসি খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি বা ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির জন্য ৫৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলারের এলসি খুলেছেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
জুলাই-এপ্রিল সময়ে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ৩৪৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি, ১৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ৩২ কোটি ৮২ লাখ ডলারের; কমেছে ৬১ শতাংশ। গম আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ২০০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ৪৬ শতাংশ।
চিনি আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ৯২ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি ৭৮ শতাংশ। ভোজ্যতেল আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ১৮৫ কোটি ডলারের; বেড়েছে ৫০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এ ছাড়া অন্যান্য পণ্য ও শিল্প যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ২ হাজার ১১৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের; বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৫৩ দশমিক শুণ্য ৩ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।
২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য মোট ৫৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল, যা ছিল আগের (২০১৮-১৯) অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ কম।
রিজার্ভে টান
আমদানি বাড়ায় বাংলাদেশের রিজার্ভেও টান পড়েছে। মঙ্গলবার দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
অথচ গত বছরের আগস্টে এই রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল, যা ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ওই সময়ে প্রতি মাসে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসেবে ১০ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।