বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ

  •    
  • ২৯ মে, ২০২২ ২২:৫৮

প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিতরণকৃত ঋণ হিসাবের আবেদন, ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়ন, অনুমোদন, নবায়ন, পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন, সুদ বা মুনাফার অর্থ মওকুফ ইত্যাদির জন্য পর্ষদ সভায় উপস্থাপিত স্মারক ও সভার সিদ্ধান্ত বা কার্যবিবরণীর কপি ও ঋণের হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট ঋণ আদায়ের মাধ্যমে সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ হিসাবের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিতরণকৃত ঋণ বা লিজ বা বিনিয়োগের তদারকি, ঋণের অর্থ আদায়ে জটিলতা দেখা দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিতরণ পরবর্তীকালে ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বা নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন ইত্যাদি কাজে ঋণের নথি ঋণ বিতরণকারী সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে সংরক্ষিত থাকতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ/লিজ/বিনিয়োগের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার ফলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে ঋণের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিতরণকৃত ঋণ হিসাবের আবেদন, ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়ন, অনুমোদন, নবায়ন, পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন, সুদ বা মুনাফার অর্থ মওকুফ ইত্যাদির জন্য পর্ষদ সভায় উপস্থাপিত স্মারক ও সভার সিদ্ধান্ত বা কার্যবিবরণীর কপি ও ঋণের হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট ঋণ আদায়ের মাধ্যমে সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে।

৫০ লাখ টাকা ও তদুর্ধ্ব অংকের ঋণ/লিজ/বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দলিলের কপি যে শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে সে শাখা ছাড়াও একটি বিকল্প শাখা অফিস বা প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

ঋণ বা বিনিয়োগের নথির ছায়ালিপি সংরক্ষণে ডিজিটাল মাধ্যমও ব্যবহার করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল ছায়ালিপির যথাযথ ব্যাক-আপ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনস পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

বিতরণকৃত ঋণের নথি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে কিনা তা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি তিন মাস পরপর (৩১ মার্চ, ৩০ জুন, ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর) ভিত্তিতে যাচাইপূর্বক নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে। নিরীক্ষায় ঋণ হিসাবের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপিত হওয়ার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাবেন।

নীতিমালা জারি হওয়ার পর তা পরিপালনের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বিশেষ সভা আহ্বান করে পরিপালন প্রক্রিয়া নির্ধারণপূর্বক পরিপালনের অগ্রগতি ৩ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগকে জানাতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর