‘সব কিছুর দাম যেন কমে, এটাই প্রত্যাশা’
কেমন বাজেট দেখতে চান– জানতে চাওয়া হয়েছিল রাজধানীর এক ফেরিওয়ালা শফিকুল ইসলামের কাছে। তিনি বলেন, ‘ফেরি করে পানি বিক্রি করি। আমার কথা হচ্ছে, সরকার যেন সব কিছুর দাম কমায় দেয়। গরিব মানুষ যেন খেয়ে-দেয়ে কোনোরকমে বেঁচে থাকতে পারে। আর এইডাই হলো সরকারের কাছে আমার আবদার।
‘আমাদের দেশে অনেক গরিব মানুষ আছে, যাদের কিছু কিনে খাওয়ার টাকাটাও নাই। সরকার একটু বিবেচনা করলে গরিব মানুষ খেয়ে-পরে দিন কাটাতে পারবে।
‘জিনিসপত্রের দাম কেবল বাড়ছেই। কেন এত দাম বাড়ছে জানি না। জিনিসের দাম নাগালের মধ্যে থাকা উচিত। সরকার এটা নিশ্চিত করতে পারলেই আমি খুশি।‘সব কিছুর দাম ডাবল ডাবল হয়ে গেছে। তেলের দাম ২০০ টাকার উপরে। চাল ৭০-৭৫ টাকা কেজি। আমাদের মতো গরিব মানুষ খেয়ে না খেয়ে বাঁচতাছি। এই দুঃখ কার কাছে বলব?
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবদার: খেয়ে-পরে বাঁচার জন্য বাজেটে সব জিনিসের দাম যেন কমাইয়া দেয়। আমি পানি বিক্রি করি। পানের দাম বেড়ে গেলে পাবলিকের সঙ্গে ঝামেলা হবে। পাবলিক বেশি দাম নিয়ে ঝামেলা করবে। এইটা বিক্রি করে আমার পরিবার চালাই। তাই বাজেটে যেন আর দাম না বাড়ে।’
‘গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম যেন না বাড়ে’
বিহঙ্গ বাসের চালক আরমান বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও কিছু করার নাই, আর না বাড়লেও কিছু বলার নাই। আমাদের মতো গরিব মানুষের কাজ হচ্ছে মুখ বুজে সহ্য করা।
‘সব কিছুর দাম বাড়লেও আমাদের বেতন বাড়ে না। তীব্র যানজটে আগের মতো ট্রিপ হয় না। মালিকরা বলে, তাদের আয় কমে গেছে। ফলে বেতন বাড়ায় না।
‘ধার-কর্য করে কোনো রকম বেঁচে আছি। এ অবস্থায়, বাজেটে গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বাড়লে আরও বেড়ে যাবে পরিবহন খরচ। এতে করে গাড়ির আয় কমে যাবে। তখন খুবই কষ্ট হবে চলতে।’
‘চাল-ডালের দাম কম দেখতে চাই’
ঢাকার রিকশা চালক মো. শাহিন বলেন, ‘সরকারের কাছে চাওয়া, নতুন বাজেটে জিনিসের দাম যেন না বাড়ে। ভাড়া কম। আমাদের ইনকাম কম। রোদের মধ্যে গাড়ি চালাইতে হয়। এত কষ্ট করে যদি জিনিসপত্র বেশি দামে কিনতে হয়, তাহলে আমরা চলব কীভাবে?
‘সরকারের কাছে আবেদন, নতুন বাজেটে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে নিত্যপণ্যের দাম কম থাকে।
‘চাল, ডাল, তেলের দাম অনেক বেশি। দিন আনি, দিন খাই। দাম বাড়ায় আমাদের অনেক কষ্ট হয়। দাম কম থাকলে আমরা চলতে পারি, খাইতে পারি।’