অভ্যন্তরীণ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে গত ১৩ মে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। ফলে পণ্যটির সরবরাহ ও দাম বাড়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। এমন বাস্তবতায় কোন কোন দেশে ভারত গম রপ্তানি করবে, সে বিষয়ে দেশটির অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ভোক্তা, খাদ্য ও গণবিতরণবিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
স্থানীয় সময় বুধবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে দেয়া বক্তব্যে মন্ত্রী গম রপ্তানি নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন।
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে চলতি বছরে ভারতে গমের উৎপাদন ৭ থেকে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির আশাবাদের বিষয়টি তুলে ধরেন পীযূষ। তিনি বলেন, দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে আগেই ফসল ঘরে তুলতে হয়েছে এবং শস্যহানি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতেও ভারত যে পরিমাণ গম উৎপাদন করেছে, তা দিয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানান মন্ত্রী।
পিআইবির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈশ্বিক গমের বাজারে ভারতকে বড় প্রভাব বিস্তারকারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো না। দেশটি প্রায় দুই বছর আগে গম রপ্তানি শুরু করে।
এ বিষয়ে পীযূষ গয়াল বলেন, গত বছর ৭ লাখ টন গম রপ্তানি করে ভারত।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে ভারত বড় পরিসরে গম রপ্তানি শুরু করে বলেও জানান তিনি।
ভারতের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রভাব বিশ্ববাজারে পড়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক গম রপ্তানি বাণিজ্যের ১ শতাংশেরও কম করে থাকে ভারত এবং আমাদের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রভাব বৈশ্বিক বাজারে পড়া উচিত নয়। সংকটাপন্ন ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে আমরা রপ্তানির অনুমোদন অব্যাহত রেখেছি।’