চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৫১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে, যা গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
গত ২৪ মে পর্যন্ত এই রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার ফখরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সম্মেলনকক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
কাস্টম কমিশনার ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের আমদানি-রপ্তানির শুল্কায়ন ৮০ শতাংশ এই কাস্টম হাউসে হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
‘লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১০ শতাংশ পিছিয়ে থাকলেও চলতি অর্থবছর শেষ হতে আরও ৩৭ দিন বাকি রয়েছে। আশা করি, এই সময়ের মধ্যেই এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভবিক রয়েছে। রাজস্ব আদায়ও চলমান আছে। আগামী অর্থবছরের কাস্টম তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কার নেট ডি প্যাসেজ (বিদেশি পর্যটক) সুবিধায় বিভিন্ন সময় আমদানি করা ১০৮টি গাড়ির নিলামের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসব গাড়ি কয়েক বছর ধরে বন্দরে পড়ে আছে।
নিলামের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফখরুল ইসলাম জানান, ২৯ মে এসব গাড়ি নিলামের জন্য ক্যাটালগ প্রকাশ করা হবে। এবারও ম্যানুয়াল ও ই-অকশন দুই পদ্ধতিতেই দরপত্র জমা দিতে পারবেন দরদাতারা।
আগামী ৫-৬ জুন পর্যন্ত নিলামে আগ্রহী ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দরে গাড়িগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও জেলা প্রশাসন ছাড়াও ঢাকা, মোংলা ও সিলেটেও দরপত্র জমা দিতে পারবেন আগ্রহীরা। দরপত্র খোলা হবে ১৯ জুন।
এর গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামের মাধ্যমে ক্রেতাদের হস্তান্তর করা হয়।