ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। শিল্প প্রতিষ্ঠানটির হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনকালে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান একথা বলেছেন।
উচ্চমানের ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সাফল্য ও সম্ভাবনা দেখতে শনিবার ইপিবির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার ঘুরে দেখেন।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান, সচিব ইফতিখার আহমেদ চৌধুরী, ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজালাল ও কুমকুম সুলতানা, ডেপুটি ডিরেক্টর রাখী আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মুনিরা শারমিন ও নজিবুর রহমান এবং স্টাফ অফিসার মইনুল ইসলাম।
হেডকোয়ার্টার কমপ্লেক্সে অতিথিদের স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর।
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মগ ইয়াং, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক তাপস কুমার মজুমদার, আনিসুর রহমান মল্লিক ও ইয়াসির আল ইমরান এবং নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম।
পরিদর্শন শেষে এএইচএম আহসান বলেন, ‘ওয়ালটনের কারখানার কথা অনেক শুনেছি। জানতাম এটা অনেক বড়, কিন্তু এত বড় তা জানতাম না। আজ এখানে এসে ওয়ালটন সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরও পাকাপোক্ত হলো।’
ওয়ালটন দেশের বাজারে শীর্ষস্থানে আছে উল্লেখ করে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের ব্র্যান্ড, বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে তুলে ধরা। অর্থাৎ বৈশ্বিক বাজারে আমাদের দেশের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। দরকার আন্তর্জাতিক মেলাগুলোতে বেশি করে অংশ নেয়া। এক্ষেত্রে ওয়ালটনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ইপিবি প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।’
ইপিবির মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি শুরু হয়েছে ওয়ালটনকে দিয়ে। অন্যরা তাদের অনুসরণের চেষ্টা করছে। এ খাতে আমাদের সম্ভাবনা অনেক। বাংলাদেশে ওয়ালটনের মার্কেট শেয়ার ৭০ শতাংশেরও বেশি। এখন ওয়ালটনের দরকার বৈশ্বিক বাজারে উপস্থিতি বাড়ানো, বিদেশে তাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো।’
ওয়ালটন ঠিক পথে আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে তৈরি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ওয়ালটনসহ এ খাতের সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।’