সেবা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা হয়রানি ও অসম প্রতিযোগিতার অভিযোগে প্রতিযোগিতা কমিশনের মামলায় নিজেদের ব্যাখ্যা দিতে একমাস সময় পেয়েছে চার ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
নিজেদের ব্যাখ্যা দিতে দুটি প্রতিষ্ঠান আগামী ২২ জুন এবং দুটি প্রতিষ্ঠান ২৭ জুন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে আট ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে কমিশন। তাদের মধ্যে চার কোম্পানিকে বুধবার শুনানিতে ডাকা হয়।
কমিশনের প্রথমিক অনুসন্ধানে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ জন্য ভোক্তাস্বার্থে প্রতিযোগিতামূলক বাজার নিশ্চিত করতে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেছে কমিশন। প্রতিষ্ঠানগুলোকে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে নোটিশও পাঠানো হয়।
নোটিশ পেয়ে বুধবার চার প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা কমিশনের শুনানিতে অংশ নেয়। শুনানিতে বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা) ও মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ) ২২ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে।
এ ছাড়া ২৭ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর) ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা)।
কমিশনের পক্ষে কোম্পানিগুলোর বক্তব্য শুনেন কমিশনের চেয়ারপার্সন মফিজুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা। পৃথকভাবে চার কোম্পানির সঙ্গে শুনানিতে বসে কমিশন।
এ সময় কোম্পানির প্রতিনিধিরা সময় চাইলে কমিশন তা মঞ্জুর করেছে।
বৃহস্পতিবার আরও চার কোম্পানি শুনানিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এ চারটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।
সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের (তীর) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়া আইনজীবী তফসিরুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশনের নোটিশের প্রেক্ষিতে আমরা উপস্থিত হয়েছি। কমিশন যে তদন্ত প্রতিবেদনটা করেছে, সে প্রতিবেদনটা আমরা চেয়েছি। প্রতিবেদনটা পেলে আমরা একটা জবাব দেব। জবাব দিতে বাড়তি সময়ের জন্য একটা দরখাস্ত দিয়েছি। কোর্ট দরখাস্ত মঞ্জুর করেছে। কোর্ট যে অভিযোগ এনেছে সে বিষয়ে আগামী শুনানিতে জবাব দেব।’