বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার বেশি চান বাণিজ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৫:২৮

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে এখন আলোচনা হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আমাদের তো একটা সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার যে কতটা বাড়তি দামে পেঁয়াজ খাওয়া উচিত, আর কতটা বাড়তি দাম কৃষকদের দেয়া উচিত।’

কৃষক পর্যায়ে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ কেজিতে ২০ টাকা এমনকি স্থানভেদে এই খরচ আরও বেশি হয়। খুচরা পর্যায়ে তাই পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজির মধ্যে থাকা উচিত বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

কত দামে আমরা পেঁয়াজ খেতে চাই তেমন একটা সিদ্ধান্তেও আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনাসংক্রান্ত কমিটির দ্বিতীয় সভায় এমন মন্তব্য করেন টিপু মুনশি।

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে এখন আলোচনা হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। আমাদের তো একটা সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার যে কতটা বাড়তি দামে পেঁয়াজ খাওয়া উচিত, আর কতটা বাড়তি দাম কৃষকদের দেয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘এখন যদি বলে যে ২০ টাকায় পেঁয়াজ দিতে হবে তাহলে কিন্তু কৃষকরা বাঁচবে না, তারা উৎপাদনও করবে না। তারা উৎপাদন বন্ধ করে দেবে। আমাদেরকে এমন একটা দামে যেতে হবে যেখানে কৃষকরাও পেঁয়াজের দাম পায় এবং ভোক্তারাও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পেঁয়াজ পায়। কারণ আমাদেরকে কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের একটা হিসাব দিয়েছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে খরচ হয় ২০ থেকে ২১ টাকা, স্থানভেদে সেটি আরও বেশি। উৎপাদন খরচ যা-ই হোক, উৎপাদিত পেঁয়াজ পচে যাওয়ার একটা হিসাব রয়েছে। এটাও কিন্তু কৃষককে হিসাব করতে হয়। ফলন শেষেই কৃষকদের তো ৫-৬ টাকা করে লাভ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া আজকে যদি আমি ১০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করি, তার থেকে কিন্তু এক মাসের মধ্যে তার তিন থেকে চার পার্সেন্ট পচে যাবে। তাই দামের ক্ষেত্রে এটাও হিসাবে যুক্ত করতে হবে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা যদি কৃষক পর্যায়ে দাম হয়, তাহলে সেটি খুচরা পর্যায়ে ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হবে। এই দামে পেঁয়াজ খাওয়ার ক্ষমতা ভোক্তাদের আছে। তাই পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বস্তির বিষয় হলো, পেঁয়াজের একটু ভালো দাম পাওয়ার কারণে কিন্তু কৃষকরা পেঁয়াজের ভালো উৎপাদনও করছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ২ লাখ ১২ হাজার টন পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হয়েছে। আমাদের প্রতি বছর আমদানি করতে হয় গড়ে ৬-৭ লাখ টন। এ ক্ষেত্রে কৃষক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা যদি গড়ে প্রতি বছর দুই-আড়াই লাখ টন উৎপাদন বাড়াতে পারি, দুই বছর আগেও বলেছিলাম একই কথা। আমরা সে পথেই হাঁটছি। আমরা খুব বেশি আশাবাদী ২০২৫ সাল নাগাদ বোধহয় আমাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।’

তাই এখন পেঁয়াজ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেন টিপু মুনশি।

পেঁয়াজের বাজার এখনো ঠিক আছে, সরকারও সতর্ক রয়েছে। যদি দেখা যায় বাজার খুব বেশি বাড়ছে, তাহলে কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি (আইপি) অনুমোদন দেয়ামাত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। যেটা বন্ধ রয়েছে, তা চালু করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর