বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আটা-ময়দার বাজারও চড়া

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১১:০৩

রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মতিঝিলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। এখন সেটা ৯৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ দুই কেজিতে দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। প্রতি কেজি হিসাবে বেড়েছে ১৪ টাকা।

নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য পণ্যের মতো দাম বেড়েছে গমজাতীয় খাদ্যদ্রব্যেরও। রাজধানীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গমজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বিগুণ হয়েছে দাম।

রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মতিঝিলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। এখন সেটা ৯৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ দুই কেজিতে দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। প্রতি কেজি হিসাবে বেড়েছে ১৪ টাকা।

ময়দা দুই কেজির দর ছিল ৯৮ টাকা। এখন সেটা ১৩৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লাফে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা।

অর্থাৎ এক কেজি ময়দা কিনতে এখন আগের চেয়ে ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে।

সুজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২৪ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি সুজির দাম ছিল ৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকা কেজিতে।

আটা-ময়দার দাম বাড়ার কারণে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য পণ্যগুলোর দামও বেড়েছে। আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি পাউরুটি, বিস্কুট, চানাচুর, নুডলস জাতীয় খাদ্যপণ্যের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি বন্ধ থাকায় আটা-ময়দার দাম বাড়ছে।

বেসরকারি সংস্থা কনজ্যুমারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক জানান, তদারকি ব্যবস্থা শুধু তেলের বাজারেই দেখা যাচ্ছে, কিন্তু অন্য সব জিনিসের দামও চড়া। সেসব ক্ষেত্রেও নজরদারি বাড়ানো দরকার।

কনজ্যুমারস ফোরামের এক গবেষণায় দেখা যায়, পাইকারিতে আটা-ময়দার দাম ১ দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়েছে।

চলতি বছর জানুয়ারিতে পাইকারিতে এক কেজি আটা ছিল ৪২ টাকা। মার্চে সেটা ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরাতে এখন এক কেজি আটার দাম ৫০ টাকার বেশি।

এক কেজি ময়দার পাইকারি দর ৫৭ টাকা, কিন্তু খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা।

সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাময়িকভাবে পণ্যটি রপ্তানি বন্ধের কথা জানিয়েছিল ভারত। এরপর হু হু করে বাড়তে থাকে গমজাতীয় পণ্যের দাম।

গত শুক্রবার বা তার আগে গম রপ্তানিতে যেসব দেশের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বহাল থাকবে বলে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, কিন্তু বাজারে সেটার প্রভাব দেখা যায়নি।

শেওড়াপাড়ার আলীম স্টোরের মালিক আলীম উদ্দিন বলেন, ‘এখন খোলা আটা আগের দামে বিক্রি হচ্ছে, তবে এর পরে নতুন বস্তা আনা হলে দাম বেশি দিতে হবে।’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তারাই বাড়তি দামে কিনছেন। এ জন্য বিক্রিও করতে হবে বেশি দামে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্যমূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আটা সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ময়দার দাম ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে।

এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি আটা সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও ময়দার দাম ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

এ ছাড়া এক বছরের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ৫০ শতাংশ ও খোলা ময়দা ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

২০২১ সালের নভেম্বর থেকে গমের দাম বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে প্রতি টনের দাম ছিল ২৬৪ ডলার। নভেম্বরে তা বেড়ে হয় ৩৩৫ ডলার।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা আরও বেড়ে যায়। দাম হয় ৫৩৩ ডলার। এপ্রিলে তা আরও বেড়ে হয় ৬৭৩ ডলার। গত ১৩ মে তা বেড়ে ১ হাজার ১৭৮ ডলারে দাঁড়ায়।

এ বিভাগের আরো খবর