ভারতে মূল্যস্ফীতি ক্রমেই বাড়তে বাড়তে এক দশকের রেকর্ড ভেঙেছে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের পাইকারি মূল্যস্ফীতি ১৫.০৮-এ পৌঁছেছে, যা প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
গত ফেব্রুয়ারিতে এটি ছিল ১৩.১১ শতাংশ, আর মার্চে ১৪.৫৫ শতাংশ।
গত বছরের এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ১৩তম মাস পাইকারি মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে রয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ।
খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ সবজির দাম বৃদ্ধি। সবজির মূল্যস্ফীতির হার এপ্রিলে ২৩.২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা মার্চ মাসে ১৯.৮৮ শতাংশ ছিল। আলুর দাম বেড়েছে ১৯.৮৪ শতাংশ। তবে পেঁয়াজের দাম ৪.০২ শতাংশ কমেছে।
ফলের দামও মার্চ মাসে ১০.৬২ শতাংশ থেকে ১০.৮৯ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে গমের দামে ১০.৭০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা গত মাসে প্রায় ১৪.০৪ শতাংশ ছিল। ডিম, মাংস ও মাছের দাম মার্চে ৯.৪২ শতাংশ থেকে ৪.৫০ শতাংশ বেড়েছে।
জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম মার্চে ৩৪.৫২ শতাংশ থেকে এপ্রিলে গিয়ে ছুঁয়েছে ৩৮.৬৬ শতাংশ। এপ্রিল মাসে হাইস্পিড ডিজেলের দাম ৬৬.১৪ শতাংশ এবং এলপিজির দাম বেড়েছে ৩৮.৪৮ শতাংশ।
কারখানাজাত পণ্যের দাম মার্চে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ থেকে বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির উচ্চ হার ছিল প্রাথমিকভাবে খনিজ তেল, মৌলিক ধাতু, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস, খাদ্যসামগ্রী, অখাদ্যসামগ্রী, খাদ্যপণ্য এবং রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য ইত্যাদির দাম বৃদ্ধির কারণে।