বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রানারের ২১ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ২১:১৬

ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করেছে তার চেয়ে আয়কর রিটার্নে কম বিক্রি দেখানো হয়েছে। এভাবে বিক্রির প্রকৃত তথ্য গোপন করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

দেশীয় মোটরবাইক উৎপাদনকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড প্রায় ২১ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে ভ্যাট ফাঁকির এই তথ্য উদঘাটন করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৭১ কোটি টাকার পণ্য বিক্রিয়ের তথ্য গোপন করে এই পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বুধবার মামলা হয়েছে।

বুধবার ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা দপ্তরের অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভ্যাট গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করেছে তার চেয়ে আয়কর রিটার্নে কম বিক্রি দেখানো হয়েছে। এভাবে বিক্রির প্রকৃত তথ্য গোপন করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

রানার অটোমোবাইলসের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে। আর কারখানা ময়মনসিংহের ভালুকায়।

প্রতিষ্ঠানটি একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যার অধীনে একটি কারখানা, একটি বাণিজ্যিক আমদানিকারক ও একাধিক শো-রুম রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করে মোটরসাইকেল এবং থ্রি-হুইলার তৈরি করে বাজারজাত করে থাকে। তাদের তৈরি পণ্য করর্পোরেট গ্রাহক, ডিলার ও নিজস্ব শো-রুমে বিক্রি করা হয়।

রানার বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে উল্লেখ এক ক্রেতা ভ্যাট গোয়েন্দা দপ্তরে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে গত মার্চে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে গোয়েন্দা দল দেখতে পায়, প্রতিষ্ঠানটি মাসিক দাখিলপত্রে প্রকৃত বিক্রির তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

তদন্তে দেখা যায়, রানার অটোমোবাইলস ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত এক হাজার ৮৩৪ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে। কিন্তু রিটার্নে এক হাজার ৭৬৪ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির তথ্য দেয়া হয়। সে হিসাবে রিটার্ন ও প্রকৃত বিক্রির তথ্যে পার্থক্য পাওয়া যায় ৭০ কোটি টাকার বেশি।

এভাবে বিক্রির প্রকৃত তথ্য গোপন করায় ১৫ কোটি ৬০ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

এই ফাঁকির ওপর আইন অনুসারে মাসে ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত জরিমানাসহ সুদ আসে ৫ কোটি টাকার বেশি। সে হিসাবে সাকল্যে ২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর