পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বুধবার বিকেলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় বলে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেনের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহযোগিতা এবং চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ চীনের কোনো ঋণের ফাঁদে নেই। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে অন্য দেশের ঋণের ফাঁদ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ চীনের কোনো ঋণের ফাঁদে নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শুরু হয়েছিল, যেটি অনেক দিন স্থগিত ছিল। এখন মিয়ানমার কিছুটা এগিয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি কীভাবে কী করা যায়।
‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি শুরু করা উচিত। চীনের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
‘চীন থেকে নেয়া ঋণের ফাঁদে পড়বে বাংলাদেশ’ বিশেষজ্ঞদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চীন থেকেও বেশি ঋণ জাপানের কাছ থেকে নিয়েছি, অথচ এটা কেউ বলে না।’
বাংলাদেশ ঋণ নেয়ার বিষয়ে সজাগ জানিয়ে ড. মোমেন ওইদিন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ঋণ নিতে খুব সজাগ। যাচাই-বাছাই না করে প্রধানমন্ত্রী কোনো ঋণ নেন না। এ ব্যাপারে একেবারে সতর্ক আমরা।
‘আমাদের ঋণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা নেই। চীন থেকে পাঁচ-ছয় পারসেন্টে ঋণ নিই আমরা। ওটা নিয়ে মাথা ঘামায় সবাই।’