প্রবাসীরা এখন সহজেই দেশের যে কোনো ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার হিসাব খুলতে পারেন। বিদেশ থেকে সেই ব্যাংক হিসাবে যে কোনো পরিমাণ আয় পাঠানো যায়। আবার বিদেশ থেকে আসার সময় নগদ বিদেশি মুদ্রা আনলে তা-ও ওই হিসাবে জমা রাখা যায়।
পাশাপাশি বিদেশে যাওয়ার সময় ১০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা সঙ্গে নেয়া যায়। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছেও ঘোষণা দিতে হয় না। তবে ১০ হাজার ডলারের বেশি হলে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী ও অনিবাসী ব্যক্তি এ দেশে যেকোনো ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় প্রাইভেট বিদেশি মুদ্রার হিসাব বা নন-রেসিডেন্ট বিদেশি মুদ্রার আমানত হিসাব খুলে পরিচালনা করতে পারেন।
‘স্থানীয়ভাবে পরিচালিত এসব বিদেশি মুদ্রার হিসাবের স্থিতি অবাধে টাকায় নগদায়ন করা যায়। বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী বা অনিবাসী ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় তার হিসাবের স্থিতি থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার নোট আকারে এবং হিসাবের স্থিতি থাকা সাপেক্ষে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য বিদেশি মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসী/অনিবাসী ব্যক্তির নামে পরিচালিত এসব বিদেশি মুদ্রার হিসাবের স্থিতি সুদসহ অবাধে বিদেশে পাঠানো যায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।’