বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কার টাকা ফেরত পেতে আরও ১ বছর অপেক্ষা

  •    
  • ৮ মে, ২০২২ ২১:৩১

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে চরম আর্থিক সংকটে পড়া দেশটিকে দেওয়া ঋণ ফেরতের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার জন্য আরও এক বছর সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ঋণের অর্থ ফেরত পেতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় শ্রীলঙ্কাকে ঋণ পরিশোধে বাড়তি এই সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা চরম আর্থিক সংকটে রয়েছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এই সময় দেয়া দেয়া হয়েছে।’

স্বাধীনতার ৫০ বছরে ঋণ করা বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে চরম আর্থিক সংকটে পড়া দেশটিকে দেওয়া ঋণ ফেরতের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার জন্য আরও এক বছর সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক, ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, শ্রীলংকার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঋণ পরিশোধে আরও এক টেনিউর (বছর) সময় বাড়ানো হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ২০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধে আরও এক বছর সময় পেল দেশটি।

শ্রীলঙ্কার আবেদনের পরিপেক্ষিতে ২০২১ সালের মে মাসে মুদ্রা বিনিময়ের (কারেন্সি সোয়াপ) আওতায় শ্রীলংকাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সিদ্ধান্তের আলোকে ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম দফায় ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলার ছাড় করা হয়। একই বছরের ৩০ অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় এবং গত নভেম্বরে বাকি ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাকে।

যে দিন থেকে যে অর্থ ছাড় করা হয়েছে, সে দিন থেকে মেয়াদ হিসাব করা হবে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় চলতি ২০২২ সালের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল দেশটির। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সময়ের সঙ্গে এখন আরও এক বছর যুক্ত হবে। তবে এই বাড়তি সময়ের জন্য অতিরিক্ত সুদ পাবে বাংলাদেশ।

যে সব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ কম তারা বিপদে পড়লে কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে থাকে।

বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নে (ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ) চাহিদার তুলনায় অনেক ঘাটতিতে রয়েছে শ্রীলংকা। দেশটির জিডিপির আকার ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। কিন্তু বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারের কম।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। শ্রীলঙ্কার এক মাসেরও নেই।

বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ৪২ বিলিয়ন ডলার ।

বর্তমানের আমদানির খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

ঋণের সুদ কত

চুক্তি অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার ঋণের জন্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে লাইবরের সঙ্গে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদ যুক্ত করে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিশোধ করবে।

তিন মাসের বেশি সময়ের জন্য দিতে হবে লাইবরের সঙ্গে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ সুদ।

লাইবর হলো যুক্তরাজ্যের লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট। বর্তমানে লাইবর রেট ২ শতাংশের কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগের বিপরীতে গ্যারান্টি দেবে শ্রীলঙ্কার সরকার ও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ২০ কোটি ডলার সমমূল্যের শ্রীলঙ্কান রুপি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে লিয়েন হিসেবে জমা থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় কারেন্সি সোয়াপ চুক্তির আওতায় দেশটির অনুকূলে তিন দফায় ২০ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশটির সরকারের গ্যারান্টি রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর