চলচ্চিত্রের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হলগুলোর জন্য গঠিত ১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণ প্রদানের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঋণ আবেদন করা যাবে চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনের নির্ধারিত মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, তহবিলের আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে ঋণসুবিধা দেয়ার পর পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে আগের সার্কুলারে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি গ্রাহক পর্যায়ে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় অনেকেই সুবিধাটি নিতে পারেননি।
সে জন্য গ্রাহক পর্যায়ে সুবিধা দিতেই সময় বাড়ানো হয়েছে।
২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স সংস্কার ও নতুন নতুন সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় স্বল্প সুদে ঋণের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলার অনুযায়ী, সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও নতুন হল নির্মাণে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হবে।
৫ শতাংশ সুদহারে বিভাগীয় অঞ্চল এবং এর বাইরের এলাকার জন্য সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর এই ঋণ শোধ করা যাবে আট বছর পর্যন্ত। তবে ঋণ গ্রহণের প্রথম বছরে ঋণ পরিশোধে ছাড় মিলবে।
ঋণের ক্ষেত্রে একই ভবনে একটি কোম্পানি ব্যক্তিমালিকানাধীন (একক বা যৌথভাবে) সিনেপ্লেক্স যতসংখ্যক স্ক্রিনবিশিষ্ট হোক না কেন তা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে।
নতুন একটি ইউনিট স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান একটি ইউনিট সংস্কারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণসুবিধা দেয়া হবে। তবে আগে ঋণ চাহিদার বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।
ঋণসুবিধার ক্ষেত্রে একটি সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্সের আসনসংখ্যা ন্যূনতম ১০০ হতে হবে। ভাড়া বা ইজারায় স্থাপনায় বিদ্যমান বা নির্মিতব্য সিনেমা হল কিংবা সিনেপ্লেক্সের মালিকপক্ষের সঙ্গে ভবনমালিকের ভাড়া বা ইজারা চুক্তির মেয়াদ প্রদেয় ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে ৫ বছর বেশি হতে হবে।