ঈদের চার দিন ছুটির পর দেশের সব ব্যাংক খুলেছে বৃহস্পতিবার, তবে শাখাগুলোতে গ্রাহকদের চাপ নেই বললেই চলে।
অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে ব্যাংকিং কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে যারা অফিস করেছেন তারা ব্যস্ত ছিলেন সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে। ব্যাংকের শাখাগুলোতে অলস সময় পার করছেন অনেকে।
রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের মতো গ্রাহকের লম্বা লাইন নেই। শাখার ভেতরে এক বা দুজন গ্রাহক। নগদ টাকা তোলারও চাপ নেই।
আর মতিঝিলের বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় গ্রাহক থাকলেও তা খুবই কম।
ঈদের আগে ৩০ এপ্রিল শনিবার সীমিত পরিসরে সারা দেশে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া ২৯ এপ্রিল পোশাক শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা ছিল।
স্বাভাবিক ব্যাংকিং আজ থেকে শুরু হলেও ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।
সব সময় ভিড় লেগে থাকে সোনালী ব্যাংকের এমন শাখার মধ্যে রোকেয়া সরণি শাখা অন্যতম। কিন্তু সেখানেও দেখা গেছে ভিড় নেই।
ওই শাখার কর্মকর্তারা বলেন, অন্যদিন দম ফেলার ফুরসত মেলে না। ঈদের আগে শেষ সপ্তাহে গ্রাহকের চাপে হিমশিম অবস্থা ছিল। কিন্তু আজ তেমন গ্রাহক চাপ নেই।
শেওড়াপাড়ার রূপালী, অগ্রণী ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা গেছে, নগদ জমা ও উত্তোলনের কাউন্টারগুলোতে গ্রাহক নেই। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ট্রাভেল ট্যাক্স দেয়ার জন্য দুই-একজন কাউন্টারে উপস্থিত হয়েছেন।
সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা এফ এম মাসুম বলেন, ঈদের পরে প্রথম কার্যদিবসে গ্রাহকের উপস্থিতি কমই থাকে। যারা ঢাকায় আছেন, তেমন কিছু গ্রাহক আসছেন। তবে আমাদের লেনদেন শুরু হয়েছে সকালেই।
জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখার কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বলেন, করোনার দুই বছরে অনেকে ঈদ তেমন উৎযাপন করতে পারেনি। এবার ঈদের লম্বা ছুটিতে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। ছুটি শেষে তারা ফিরে আসার পরে জমজমাট হবে ব্যাংকপাড়া। আগামী সপ্তাহ থেকে আবার জমে উঠবে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম।
রমজানে ব্যাংকে লেনদেন সময় কমলেও এখন স্বাভাবিক কার্যক্রমে চলবে ব্যাংক।
অর্থাৎ ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। আর অন্যান্য কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে ৬টা পর্যন্ত।