ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ে জ্বালানি তেলের দাম। কৌশলগত পণ্যটির দামের এ উল্লম্ফনে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী রাষ্ট্রের অন্যতম সৌদি আরব।
বাড়তি দামে তেল বিক্রি করে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সৌদিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশটিতে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৬ শতাংশ।
স্থানীয় সময় রোববার অনলাইনে প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক ফল প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে সৌদি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়, তেলবাণিজ্যে ভর করে গত ১০ বছরের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হার দেখেছে সৌদি।
পরিসংখ্যান সংস্থা আরও জানিয়েছে, প্রথম প্রান্তিকের ডেটা ‘এখনও অসম্পূর্ণ’। এটি সংশোধন হতে পারে।
এর মানে হলো ওই প্রান্তিকের জন্য প্রবৃদ্ধির নতুন হিসাব প্রকাশ করতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটি।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে সৌদির মতো তেল উৎপাদক রাষ্ট্রগুলোর জন্য।
সংস্থাটির পূর্বাভাস, ২০২২ সালে সৌদির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭.৬ শতাংশ।
ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত থাকার মধ্যে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের (যাতে নেতৃত্ব দেয় রিয়াদ ও মস্কো) প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার বিষয়ে জোর দিয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এর মানে হলো দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে বেরিয়ে আসছে সৌদি ও আমিরাত।
গত মাসে রেটিংস এজেন্সি ফিচের পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০১৩ সালের পর চলতি বছর প্রথমবারের মতো ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি হবে সৌদির।
সংস্থাটি আরও বলেছে, অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টার মধ্যেও তেলের প্রতি সৌদির নির্ভরতা এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দেশটিতে বাজেটে মোট আয়ের ৬০ শতাংশের বেশির উৎস এখনও তেল।