বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চতুর্থ প্রান্তিকে বিপর্যয়, ওয়ান ব্যাংকের লভ্যাংশ তলানিতে

  •    
  • ১ মে, ২০২২ ২১:০১

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ওয়ানের শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৮৪ পয়সা। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আরও আয় হয় ৬৭ পয়সা। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে আয়ে ধস নামে। এই তিন মাসে ব্যাংকটি শেয়ারপ্রতি আয় দেখায় ১৮ পয়সা। তিন প্রান্তিকে এই পরিমাণ আয় দেখানোর পর গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংকটির শেয়ারদরে দেখা দেয় অস্বাভাবিক উত্থান। ৮ নভেম্বর শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ নভেম্বর গিয়ে তা ঠেকে ২০ টাকা ৯০ পয়সায়।

তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৬৪ পয়সা। অথচ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দেখানো হয়েছে শেয়ারপ্রতি ৮১ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত আয় থেকে হাওয়া ৮৩ পয়সা।

তবে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয় যোগ করে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯০ পয়সা।

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে আয়ের এই তথ্য জানিয়েছে ওয়ান ব্যাংক।

শনিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত রোববার বিজ্ঞাপন আকারে গণমাধ্যমে ছড়ানো হয়।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ ব্যাংকটি এবার তার ইতিহাসের সর্বনিম্ন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

অথচ ২০২১ সালের চারটি প্রান্তিকের প্রথম দুই প্রান্তিকে প্রচুর আয়ের পর ব্যাংকটির শেয়ারদর বেড়ে গিয়েছিল ব্যাপক হারে।

ওই অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ওয়ানের শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৮৪ পয়সা। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আরও আয় হয় ৬৭ পয়সা। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে আয়ে ধস নামে। এই তিন মাসে ব্যাংকটি শেয়ারপ্রতি আয় দেখায় ১৮ পয়সা।

তিন প্রান্তিকে এই পরিমাণ আয় দেখানোর পর গত বছরের নভেম্বরে ব্যাংকটির শেয়ারদরে দেখা দেয় অস্বাভাবিক উত্থান।

৮ নভেম্বর শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ নভেম্বর গিয়ে তা ঠেকে ২০ টাকা ৯০ পয়সায়। কিন্তু যেভাবে উঠেছিল, সেভাবেই পড়ে দর। যে দর থেকে উত্থান, সেই দরের কাছাকাছি ১২ টাকা ৪০ পয়সায় নেমে আসে গত ১৯ এপ্রিল।

এরপর লভ্যাংশ ঘোষণার আগে আগে কিছুটা বেড়ে এখন দর ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। ঈদের ছুটি শেষে ৮ মে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হলে লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।

তালিকাভুক্তির পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শুধুই বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়েছে। এই সময়ে সর্বনিম্ন লভ্যাংশ ছিল ১০ শতাংশ।

২০১৫ সাল থেকে নগদ লভ্যাংশ পেতে শুরু করেন ওয়ান ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা। ওই বছর সাড়ে ১২ শতাংশ করে নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ দেয়া হয়। পরের বছর ১৩ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৭ সালে ১৫ শতাংশ নগদের সঙ্গে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এরপর তিন বছরের ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০১৮ সালে শুধু ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে ওয়ান ব্যাংক। ২০১৯ সালে আবারও নগদ লভ্যাংশে ফেরে ব্যাংকটি। ওই বছর ৫ শতাংশ নগদের সঙ্গে ৫ শতাংশ বোনাস দেয়। ২০২০ সালেও ৬ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল ওয়ান ব্যাংক।

২০২০ সালে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক এই লভ্যাংশের মধ্যে নগদে বিতরণ নিয়ে আপত্তি তোলে। সেটি না শোনায় ব্যাংকটিকে জরিমানাও করা হয়। নির্দেশ দেয়া হয় পরের অর্থবছরের লভ্যাংশের সঙ্গে নগদের সেই বিতরণ করা লভ্যাংশের বিষয়টি সমন্বয় করতে।

তবে ব্যাংকটির আয় কমার প্রবণতা শুরু হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। পরের বছর ৪ পয়সা কমে ইপিএস দাঁড়ায় ৩ টাকা ৬০ পয়সায়।

তবে পরের বছরই প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে আয়। ১ টাকা ৭৬ পয়সা কমে ২০১৮ সালে শেয়ারপ্র্রতি আয় হয় ১ টাকা ৮৪ পয়সা। যদিও পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ৭ পয়সা বেড়ে আয় দাঁড়ায় ১ টাকা ৯১ পয়সায়। আর ২০২০ সালে ৩৪ পয়সা কমে। সেখান থেকে ২০২১ সালে আরও ৫৯ পয়সা কমল।

আয় কমলেও শেয়ারপ্রতি সম্পদ বেড়েছে ওয়ান ব্যাংকের। ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। বিপরীতে ২০২১ সালে এটি দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৯৬ পয়সায়।

৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ পেতে হলে ওয়ান ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত শেয়ার রাখতে হবে পোর্টফোলিওতে। কারণ ওই দিন কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর লভ্যাংশ অনুমোদন-সংক্রান্ত বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম হবে চলতি বছরের ১১ আগস্টে।

এ বিভাগের আরো খবর