বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুদের পোশাকে বাহারি আয়োজন

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ২০:১৪

মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে কাঁচা বাদাম ফ্রক; সাদা, কালো, নীল সুতি কাপড়ের উপর হাল্কা কাজ করা হয়েছে এসব ফ্রকে। তবে মেয়েদের কাঁচা বাদাম থ্রিপিস যেমন আকর্ষণীয়, ছেলে শিশুদের বেলায় তেমনটা দেখা যায়নি।

উৎসব মানেই শিশুদের বাঁধভাঙা আনন্দ। জামা কাপড় জুতা সবই নতুন চায়। পরিবারে শিশুদের পোশাক কেনা হয় সবার আগে।

ঈদের আগে আগে রাজধানীর মিরপুর-১০, মিরপুর ১ ও ২ এর বিভিন্ন শপিংমল ও শো-রুমে দেখা গেছে, দেশীয় ফ্যাশন হাউসের পাশাপাশি ব্র্যান্ড শপগুলোতে শিশুদের পোশাকেও বর্ণিল ডিজাইন।

বিক্রয়কর্মীরা জানান, এখন আবহাওয়া গরম। এ জন্য ফ্যাশন হাউজগুলো সুতি পোশাককেই প্রাধান্য দিয়েছে। পাশাপাশি তাঁত, হ্যান্ডলুম, মসলিন, লিনেন ও খাদির ব্যবহারও বেড়েছে।

এ ছাড়া সিল্ক, কাতান, ভিসকস, অরগাঞ্জা, সাটিন, টিস্যু, গ্লিটারি কাপড়, ডেনিম বা জর্জেটের মতো কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে বাহারি ডিজাইনের পোশাক। এসব পোশাক যেন গরমেও স্বস্তিদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।

ভারতের বীরভূমের বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের সঙ্গে থিমের সঙ্গে মিল রেখে বাচ্চাদের জন্য আনা হয়েছে ‘কাঁচা বাদাম ফ্রক’।

প্রতি বছর ফ্যাশন হাউজগুলো শিশুদের পোশাকে বৈচিত্র নিয়ে আসে। নিত্যনতুন ডিজাইন করা হয় শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

কে-ক্রাফট, অঞ্জন'স, চন্দ্রবিন্দু, বৈশাখী, গ্রামীণ, পল্লী, আড়ংসহ প্রায় সব ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা যায়, শিশুদের পোশাক আরও আকর্ষণীয় করতে ব্যবহার করা হয়েছে চুমকি, এমব্রয়ডারি, ডলার, কারচুপি, লেস, টারসেল, সিকোয়েন্স, বাটিক, ব্লক, টাইডাই, স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট।

ঈদের বেচাকেনা শেষের দিকে। শেষ মুহূর্তে সবাই কিনে নিচ্ছেন ঈদের পোশাক।

পোশাকের দাম এবার একটু বাড়তি জানিয়ে বিক্রেতারা বলেন, সব জিনিসের সঙ্গে সুতার দামও বেড়েছে। এ জন্য পোশাকের দাম একটু বেশি।

দুই থেকে ১২ বছর বয়সের মেয়েদের জন্য বৈশাখী, চন্দ্রবিন্দু, অঞ্জনস এনেছে হাতের জমকালো কাজ করা সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, ট্রেন্ডি টিউনিক, টপ-বটম, টপ-স্কার্ট, কাফতান, ফ্রিল দেওয়া পার্টি ফ্রক, ঘাগরা-চোলি, শর্ট টপ, সারারা, গারারা, ওয়ান শোল্ডার ফ্রক, ফ্রিল ফ্রক, ক্রপ টপ, কোল্ড শোল্ডার টপ। পাশাপাশি রয়েছে চুড়িদার, পালাজ্জো, লেগিংস, টাইস, ধুতি স্টাইলের পায়জামা, সোজা কাটের প্যান্ট, শর্ট প্যান্ট।

এসব পোশাকে রয়েছে ব্লক, টাইডাই, এমব্রয়ডারি ও মিক্স ফিউশনধর্মী কাজ। সুতি ছাড়াও সিল্ক, ধুপিয়ান, ডেনিম, লিনেন, জর্জেট বা অরগেঞ্জা কাপড়ের স্কার্টে বড় বড় ফুলের ছাপা প্রায় সব ফ্যাশন হাউসেই দেখা গেছে। দোকানভেদে এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬/৭ হাজার টাকায়।

ছোট মেয়েদের জন্য রয়েছে কাঁচা বাদাম ফ্রক। সাদা, কালো, নীল সুতি কাপড়ের উপর হাল্কা কাজ করা হয়েছে এসব ফ্রকে। তবে মেয়েদের কাঁচা বাদাম থ্রিপিস যেমন আকর্ষণীয়, ছেলে শিশুদের বেলায় তেমনটা দেখা যায়নি।

ছেলেশিশুদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে পাতলা খাদি কাপড়ের আধিক্য দেখা গেছে। আড়ং, ইজি, অঞ্জনস, কে-ক্রাফটে দেখা গেছে, পাঞ্জাবি জুড়ে এমব্রয়ডারি ছাড়াও নতুনত্ব আনতে বুকের এক পাশে অল্প করে কাজ করা হয়েছে। রয়েছে গলায় ও হাতের কাছেও কাজ। কিছু কিছু পাঞ্জাবিতে পুরো বুক জুড়ে হাতের কাজ চোখে পড়ার মতো।

খাদি কাপড় ছাড়াও এন্ডি, সিল্ক্ক, মসলিন কাপড়ের কাজ করা পাঞ্জাবিও ক্রেতার পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

ছেলেশিশুদের জন্য ছোট হাতার ক্যাজুয়াল শার্ট, ফতুয়া, গেঞ্জি, ক্যাজুলায় গেঞ্জি আনা হয়েছে। ফুলের প্রিন্ট, ছোট ছোট ব্লক, গাড়ি, ছোট ছোট কার্টুন এঁকে এসব পোশাক করা হয়েছে আকর্ষণীয়।

প্যান্টের মধ্যে এক রঙের প্যান্টের পাশাপাশি আছে ব্লিচ করা ডেনিমের প্যান্ট।

তবে অন্যান্যবারের তুলনায় পোশাকের দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

ঈদের শিশুদের গেঞ্জি-পাঞ্জাবি কিনতে ইজির শো-রুমে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বরাবরই ইজি থেকেই পাঞ্জাবি কেনা হয়। কিন্তু এবার দাম একটু বেশি। পাঞ্জাবি ছাড়া গেঞ্জির দামও বেড়েছে। নতুন গেঞ্জি এক হাজার টাকার নিচে নেই। কিন্তু আগে এগুলো ৮৫০/৯০০ টাকায় কিনেছি।’

শো-রুমের বিক্রয়কর্মী বলেন, বর্তমানে সব জিনিসের দাম উর্ধ্বমুখী। এ জন্য তাদের পণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর