তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি যত আয় দেখানো হয়েছিল, চতুর্থ প্রান্তিক শেষে চূড়ান্ত আয় হলো তার অর্ধেকেরও কম।
অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের এই চিত্রের পরও সাউথ ইস্ট ব্যাংক তার বিনিয়োগকারীদের জন্য আগের তিন বছরের তুলনায় বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছ।
টানা তিন বছর ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার পর তা কিছুটা বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৮ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দেয়া হবে ৮০ পয়সা করে। বাকি ৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া হবে বোনাস হিসেবে, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে দেয়া হবে চারটি শেয়ার।
বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০২০ সালে ব্যাংকটি ১০ শতাংশ নগদ, তার আগের বছর সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস এবং ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয় সাউথইস্ট।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে খুব কম ব্যাংকেরই আয় কমেছে। তবে সাউথ ইস্টের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা অন্য কোনো ব্যাংকের ক্ষেত্রে হয়নি।
এই ব্যাংকটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৩ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৩ পয়সা।
আয় কমলেও শেয়ার প্রতি সম্পদের দিক দিয়ে খানিকটা উন্নতি হয়েছে সাউথ ইস্টের। গত ডিসেম্বর শেষে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ২৫ টাকা ২২ পয়সার। আগের বছর ডিসেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি ২৪ টাকা ৯৮ পয়সা সম্পদ ছিল ব্যাংকটির।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ১২ জুন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা যাকা হয়েছে আগামী ১১ আগস্ট।