ঈদের আগে নিয়মিত ব্যাংকিংয়ের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যাংকগুলোর কাউন্টারের সামনে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। ঈদের খরচ মেটানোর পাশাপাশি কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে টাকা তুলতে ব্যাংকে যান তারা।
ব্যাংকে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের ছুটি। তবে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শুক্র ও শনিবার ব্যাংক খোলা থাকবে।
৪ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম। ৫ মে বৃহস্পতিবার আবার ব্যাংক খুলবে।
সাধারণ লেনদেনের শেষ দিন হওয়ায় সকাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাউন্টারের সামনে টাকা তোলার জন্য ভিড় করেন গ্রাহকরা। অনেকে আবার নতুন টাকা নিতে এসেছেন।
ব্যাংকাররা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি লেনদেন হয় এ সময়ে। তবে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকায় টাকার কোনো সংকট নেই বলে জানান তারা। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
তারা আরও জানান, সামনে পাঁচ থেকে ছয় দিন বন্ধ। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কর্মচারীদের বেতন দিয়ে দিচ্ছে। ফলে নগদ টাকার চাপ বেড়েছে। তবে নগদ টাকার চাহিদা থাকলেও সংকট নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোতে উদ্বৃত্ত তারল্য ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে সেটি কমে হয় ২ লাখ ৪ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা।