বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২২) আয় কমেছে ৮১ পয়সা। কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বুধবার পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩ টাকা ২৮ পয়সা। অর্থাৎ ৮১ পয়সা বা ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
তবে কোম্পানির ৯ মাসের আয় বেড়েছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা। যেটি গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮ টাকা ২৩ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ৯ মাসের আয় বেড়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বিভিন্ন প্রান্তিকের আয় একটু কম-বেশি হলেও বছর বছর আয় বাড়ছে বেক্সিমকো ফার্মার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ৪৯ পয়সা। আয় বেড়ে ২০২১ সালে এটি দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪৯ পয়সায়। অর্থাৎ পাঁচ বছরে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৫ টাকা বা ১০৯ শতাংশের বেশি।
তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে বেক্সিমকো ফার্মার আয় আগের বছরের চেয়ে ৭৬ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ টাকা ২৫ পয়সায়। পরের বছর বাড়ে ১ টাকা ২৩ পয়সা। ইপিএস হয় ৭ টাকা ৪৮ পয়সা। ২০২০ সালে ১ টাকা ১৯ পয়সা বেড়ে ইপিএস দাঁড়ায় ৮ টাকা ৬৭ পয়সা। পরের বছর আয় বাড়ে প্রায় দ্বিগুণ, ২ টাকা ৮২ পয়সা বেড়ে ইপিএস হয় ১১ টাকা ৪৯ পয়সা।
আয় বাড়ার সঙ্গে লভ্যাংশও আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দিয়েছে ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানি। ফলে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৩ টাকা ৫০ পয়সা।
এর আগে কোনোদিন এত বেশি লভ্যাংশ দেয়নি বেক্সিমকো ফার্মা। আগের বছর ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস দিয়েছিল। ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০১৮ ও ২০১৭ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ করে নগদ এবং ২০১৬ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানি। তার আগের বছরগুলোতে শুধুই বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
তবে ভালো লভ্যাংশ দিলেও এর বড় একটি অংশ চলে যায় দেশের বাইরে। কারণ কোম্পানির মোট শেয়ারের প্রায় ৩০ শতাংশই রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে।
গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানির ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা ধরে রেখেছেন উদ্যোক্তা পরিচালকরা। এরপরেই ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। বিপরীতে সাধারণ ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ২১ দশমিক ০৬ শতাংশ।
গত ৩১ মার্চ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটেড নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৭৯ টাকা ৭৩ পয়সা।