পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ম্যারিকো গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে ৮০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা পাবেন শেয়ার প্রতি মোট ৮০ টাকা।
তিন প্রান্তিক শেষে ঘোষণা করা ২০০ শতাংশ করে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের পর চূড়ান্ত লভ্যাংশও এসেছে একই পরিমাণ।
অর্থাৎ অন্তর্বর্তী লভ্যাশ ৬০০ শতাংশ বা ৬০ টাকা এরই মধ্যে বিতরণ হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা চূড়ান্ত লভ্যাংশ পাবেন আর ২০ টাকা।
বুধবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ১১২ টাকা ৮২ পয়সা।
আগের বছর এই আয় ছিল ৯৮ টাকা ৬৯ পয়সা। ওই বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়া হয় ৯০০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ৯০ টাকা।
অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ১৪ টাকার বেশি বাড়লেও তারা লভ্যাংশ কমিয়েছে শেয়ার প্রতি ১০ টাকা বা ১০০ শতাংশ।
আয়ের মতো ম্যারিকোর সম্পদও বেড়েছে অনেকটাই। গত ডিসেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৮৫ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৫১ টাকা ৯৫ পয়সা।
২০০৭ সালে ৭০ টাকা করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি প্রথম বছর থেকেই নগদ লভ্যাংশে জোর দিয়ে আসছে। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে লভ্যাংশও। তবে গত দুই বছর ধরে দেখা যাচ্ছে আয় বাড়ার পর লভ্যাংশ কমছে।
২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৮৪ টাকা ১ পয়সা, ওই বছর শেয়ার প্রতি লভ্যাংশ আসে ৯৫ টাকা বা ৯৫০ শতাংশ।
পরের বছর শেয়ার প্রতি আয় আরও ১৪ টাকা করে বাড়ার পর লভ্যাংশ কমানো হয় শেয়ার প্রতি ৫ টাকা।
কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ারদর ২৩৬৭ টাকা ৪০ পয়সা। গত দুই বছরে সর্বনিম্ন শেয়ারদর ছিল এক হাজার ৫৬২ টাকা ৫০ পয়সা। এর এক বছরে সর্বনিম্ন দর ছিল ২০৫১ টাকা। আর সর্বোচ্চ দর ছিল ২৪৯৪ টাকা ৯০ পয়সা।
যারা এবার লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ২৬ মে শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে রেকর্ড ডেট।
লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা হবে আগামী ২৬ জুলাই।