বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাকা তোলার চাপ, লেনদেন বেড়েছে কলমানিতে

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০৩

রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ এহতেশামুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের আগে শেষ দুদিন সব সময়ই গ্রাহকের ভিড় থাকে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। গ্রাহকের বেশির ভাগই টাকা তুলছেন। তবে ব্যাংকে নগদ টাকার কোনো সংকট নেই।’

ঈদের আগে ব্যাংক খোলা আর এক দিন। তার পরও নগদ টাকার জন্য বুধবার ব্যাংকে ছিল গ্রাহকের ভিড়। সব ব্যাংকেই ছিল বাড়তি চাপ। এটিএম বুথেও ছিল লম্বা লাইন। এ অবস্থায় লেনদেন বেড়েছে কলমানিতে।

বুধবার রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোর কাউন্টারে ভিড় করেছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। তবে টাকা জমা দেয়ার চেয়ে উত্তোলনের চাপই বেশি। নগদ টাকার চাহিদার পাশাপাশি নতুন টাকায় গ্রাহকের আগ্রহ চোখ পড়ার মতো। তবে এদিন ১০ টাকার নতুন নোট পাননি গ্রাহকরা।

ব্যাংকে গ্রাহকের টাকা তোলার চাপ বাড়লেও নগদ টাকার কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

লেনদেনের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন সেবার বিল জমা দেয়ার লাইনও দীর্ঘ। এদিকে অতিরিক্ত গ্রাহকের চাপে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তাদের ব্যস্ত সময় পার হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসে দেখা গেছে, প্রতিটি কাউন্টারের সামনে গ্রাহকের সারি। কেউ কেউ নগদ টাকা তুলে রাখছেন। কেউ এসেছেন সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলতে। কেউ ক্রেডিট কার্ডের বিল দিচ্ছেন৷ কেউবা দিচ্ছেন বিদুৎ ও গ্যাসের বিল।

লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘ঈদের আগে আর এক দিন খোলা ব্যাংক। এ জন্য লেনদেনের শুরু থেকেই কাউন্টারের সামনে গ্রাহকের ভিড়। স্বাভাবিকের তুলনায় লেনদেন প্রায় তিন-চার গুণ বেড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নগদ টাকা তোলার চাপ। লোকজন ঈদে বাড়ি যাচ্ছে, সে কারণেই নগদের ওপর চাপ বেড়েছে।’

এনআরবিসি ব্যাংকের কর্মকর্তা হারুন-উর রশিদ বলেন, ‘সকাল থেকে অনেক গ্রাহক নতুন টাকার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ১০ টাকার নতুন নোটের চাহিদা বেশি হওয়ায় অনেককে দেয়া সম্ভব হয়নি।’

রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ এহতেশামুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের আগে শেষ দুদিন সব সময়ই গ্রাহকের ভিড় থাকে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। গ্রাহকের বেশির ভাগই টাকা তুলছেন। তবে ব্যাংকে নগদ টাকার কোনো সংকট নেই।’

অনলাইন লেনদেনের ব্যবস্থা থাকলেও তার সঙ্গে বেশির ভাগ গ্রাহকই খুব একটা পরিচিত নন বলে জানান ব্যাংকাররা।

আবার এটিএম থেকে নগদ লেনদেনের সুযোগ থাকলেও যারা একটু বেশি পরিমাণে টাকা তুলছেন তাদের ব্যাংকে আসতে হচ্ছে।

টাকা তুলতে আসা জামির হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার থেকে টানা ছয় দিন ব্যাংক বন্ধ। এ জন্য নগদ টাকা তুলতে এসেছি। পরিমাণে বেশি বলে চেকে একসঙ্গে তুলব।’

কলমানিতে লেনদেন বেড়েছে

সংকটের সময় এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে, আবার ব্যাংক থেকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িকভাবে টাকা ধার নেয়। সাধারণত এক রাতের জন্য এই ধার নেয়া হয়। এই ধার দেয়া-নেয়া কার্যক্রম যে ব্যবস্থায় সম্পন্ন হয় তা আন্তব্যাংক কলমানি বাজার নামে পরিচিত।

নগদ টাকার ঘাটতি থাকায় আন্তব্যাংক কলমানি বাজার থেকে নিয়মিত ধার করছে ব্যাংকগুলো।

বুধবার এক দিনের জন্য কলমানি মার্কেট থেকে ৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা ধার দেয়া-নেয়া করেছে ব্যাংকগুলো। এই ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন সুদহার ছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। গড় সুদহার ছিল ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

এ ছাড়া ব্যাংকগুলো আট দিনের জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদে ৩০ কোটি টাকা ধার করে। ১১ দিনের জন্য ১৫৭ কোটি টাকা, ১২ দিনের জন্য ১৫০ কোটি টাকা, ১৩ দিনের জন্য ১১ কোটি টাকা এবং ১৪ দিনের জন্য ৫৬৯ কোটি টাকা ধার করে ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ ছিল ১৩ দিনের লেনদেনে।

কলমানির বাইরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তারল্য সহায়তা পাচ্ছে ব্যাংকগুলো। বর্তমানে রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে এবং স্পেশাল রেপোর মাধ্যমে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিভাগের আরো খবর