বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সিন্ডিকেট প্রথা বাতিলের দাবি

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:৪৮

সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তের দাবি জানিয়েছে বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট।

জাতীয় স্বার্থে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে শ্রমিক পাঠাতে সব ধরনের সিন্ডিকেট প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট। একই সঙ্গে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমবাজারটি উন্মুক্তেরও দাবি জানানো হয়েছে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বার বার বলেছেন, কম খরচে বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত করবেন, আইএলও কনভেনশন অনুসরণ করবেন, স্বল্প খরচে যাওয়ার জন্য ডাটা ব্যাঙ্ক থেকে কর্মী নেয়ার ব্যবস্থা করবেন, অন্য ১৩টি দেশের মতো মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে এবং বাংলাদেশের অনলাইন সিস্টেম চালুর ব্যবস্থা করবেন। আমরা মন্ত্রীর সব বক্তব্যের সঙ্গে একমত। আমাদের প্রত্যাশা তিনি তার বক্তব্যে অবিচল থাকবেন।

‘তবুও ২৫ সিন্ডিকেটের সদস্যরা অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করছে। ইতোমধ্যে তারা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বাদেই মেডিক্যাল সেন্টারের বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে।’

আলী হয়াদার চৌধুরী বলেন, ‘১০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালু হওয়া শ্রমবাজার অনিয়ম, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে মাত্র দেড় বছরের মাথায় মালয়েশিয়ান সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয়। বাতিল করে এসপিপিএ নামক ১০ এজেন্সির অটো ডিস্ট্রিবিউশন পদ্ধতি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন এই দেশের নিরীহ কর্মীরা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারের কারণে বিনষ্ট হয় দেশের ভাবমূর্তি।’

সিন্ডিকেট বন্ধ না হলে দেশের যেসব ক্ষতি হতে পারে উল্লেখ করে তিনি জানান, আগের মতো অনিয়ম, দুর্নীতি ও অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং স্বার্থানেষী মহলের দেশবিরোধী তৎপরতা চরিতার্থ হবে। সীমিত সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করলে কর্মী পাঠাতে গতি যেমন কমে যাবে, তেমনি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও শত শত রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের ব্যবসার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

এ ছাড়াও জনশক্তি রপ্তানি সেক্টরে অনিয়ম, অরাজকতা, পারস্পরিক রেষারেষি বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া আরও ১৩টি সোর্স কান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটবিহীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী আমদানির বিপরীতে শুধু বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক আমদানি করলে সেটি হবে স্বাধীন দেশের জন্য অমর্যাদাকর।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর