বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেশি দাম পেতে বোতল কেটে ভোজ‍্যতেল বিক্রি

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৩৪

ইমন হোসেন নামের এক ক্রেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ৫ লিটার বসুন্ধরা গ্রুপের সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে বিপদে পড়েছি। বোতলের গায়ে লেখা আছে ৭৬০ টাকা। দোকানি দাম ধরল ৯২০ টাকা। তারপরও বলছে- ৫০ টাকা কম নিলাম।’

মেহেরপুরের কয়েকজন অসাধু ব‍্যবসায়ী বোতল কেটে ভোজ‍্যতেল বেশি দামে খোলা বিক্রি করছেন। অতিলোভী ব্যবসায়ীদের এমন কারসাজিতে বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীদের এমন কারসাজি প্রতিরোধে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং নিয়েও ক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা যায়, মেহেরপুরে বাণিজ‍্যিক শহর খ্যাত গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজারের ব‍্যবসায়ীরা এমন কারসাজি করছেন। তারা জানান, বোতলজাত তেলের দাম নির্ধারণ করা থাকে। তাই দামে হেরফের করতে গেলে ক্রেতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়ে। তাই তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন।

অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন কারসাজিতে বাজার থেকে বোতলজাত ভোজ‍্যতেল উধাও হয়ে গেছে। আর যে ব‍্যবসায়ীদের কাছে এখনও বোতলজাত ভোজ‍্যতেল আছে, তারা নির্ধারিত দামের চেয়ে এক শ থেকে দুই শ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন। ক্রেতারাও নিরুপায় হয়ে বাড়তি দামে ভোজ্যতেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

ঈদ সামনে রেখে জেলায় সয়াবিন তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

ক্রেতারা জানান, প্রশাসন তদারকি বাড়ালে অসৎ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুদি দোকানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রমজানের শুরুতে তেলের দাম ঠিক ছিল। আমরা যেভাবে তেল চাইতাম মহাজনরা সেভাবে দিতেন। চার দিন ধরে তারা খোলা তেল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

‘এখন পাঁচ লিটার ও দুই লিটার তেলের বোতল কেটে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। পাঁচ লিটার তেলের বোতলে দাম লেখা আছে ৭৬০ টাকা। আর খোলা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা।’

ইমন হোসেন নামের এক ক্রেতা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি অল্প বেতনের চাকরি করি। ঈদ উপলক্ষে ৫ লিটার বসুন্ধরা গ্রুপের সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে বিপদে পড়েছি। বোতলের গায়ে লেখা আছে ৭৬০ টাকা। বিক্রেতা দাম ধরল ৯২০ টাকা। তারপরও বলছে- ৫০ টাকা কম নিলাম।’

গাংনী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী খানম নিউজবাংলাকে বলেন, ভোজ্যতেল নিয়ে কেউ কারসাজি করে থাকলে বড় অন‍্যায় করছে। কোনো ব‍্যবসায়ী এমন অপরাধ করলে তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর