নেপালে সার কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। আর বাংলাদেশ এ জন্য সস্তা বিদ্যুৎ পাওয়ার শর্ত দিয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে নেপালের বিদ্যুৎ, পানি ও কৃষিমন্ত্রী পম্পা ভুসালের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কাতার, সৌদি আরব থেকে সার আমদানি করি, নেপালে যদি তাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সার কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন করা যায় তাহলে অনেক কম দাম পড়বে। তারা এ প্রস্তাবটি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তাহলে আমরা চিন্তা করতে পারি। কারণ সার তৈরিতে অনেক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। আমি প্রস্তাবটি নিয়ে উচ্চমহলে নীতিনির্ধারণী মহলে আলোচনা করব বলে জানিয়েছি।’
নেপাল জলবিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে। এর উৎপাদন খরচ কয়লা, গ্যাস বা তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম। তবে দেশটির যত উৎপাদন করার সক্ষমতা আছে বলে ধারণা করা হয়, প্রকৃত উৎপাদন তার অর্ধেকেরও কম।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নেপালে ৯০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার কমার্শিয়ালি উৎপাদন করতে পারছে। তারা মূলত ভারতকেই বেশি বিদ্যুৎ দেয়। আমরা বলেছি আমাদেরকেও বিদ্যুৎ দাও।’
বাংলাদেশ কি তাহলে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনতে চায়? এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি নেপালে কারখানা করি, তাহলে বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। তারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে চায় আবার ইন্ডাস্ট্রি তৈরিতেও বিদ্যুৎ দিতে চায়।’
নেপালের কাছ থেকে পাহাড়ি কৃষির অভিজ্ঞতাও চেয়েছে বাংলাদেশ। কৃষিমন্ত্রী জানান, সরকার বাদাম ও কফি চাষ বাড়াতে চাইছে। এসব উৎপাদনে নেপালের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন তারা।