প্রতারণা থেকে সুরক্ষা পেতে প্রকৃত ও বৈধ জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান থেকে গয়না কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সংগঠনটি বাজুস সদস্য ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অলংকার না কিনতে অনুরোধ জানিয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, অবৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে অলংকার কিনে প্রতারিত হলে তার দায়ভার নেবে না বাজুস।
মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে নতুন সদস্য বরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির সহ-সম্পাদক মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের সদস্য সচিব ও সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. রিপনুল হাসান।
প্রাথমিক সদস্যপদের পত্র হস্তান্তর করছেন বাজুস নেতারা।
অনুষ্ঠানে নতুন প্রায় ২০০ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এ সময় তাদের হাতে প্রাথমিক সদস্যপদের পত্র হস্তান্তর করেন বাজুস নেতারা।
এমএ ওয়াদুদ খান নতুন সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘সব ধরনের ক্রয়-বিক্রয়ের মেমো অথবা ইনভয়েসে বাজুস আইডি নম্বর থাকতে হবে। সব জুয়েলারি শোরুমে বাজুস আইডি নম্বর এবং লোগোসহ স্টিকার থাকতে হবে।’
পাশাপাশি সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুসের সদস্যপদ নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের দূরদর্শী চিন্তাভাবনা জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের এক নতুন পথের দিশা দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা পৌঁছে যেতে পারব প্রত্যাশিত লক্ষ্যে।’
এ সময় বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বাজুসের সহ-সম্পাদক বিধান মালাকার, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপের সদস্য কাজী এমদাদুল হক, শিবু প্রসাদ মজুমদার, শাওন সাহা, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য হাজি মো. হারুন উর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।