বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে গেম চেঞ্জার’

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ০১:৫৮

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়বে। এটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গেম চেঞ্জার।’

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্থাপিত হতে যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গেম চেঞ্জার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

সোমবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) মিলনায়তনে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে সাব-জোন-১৯ এ ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হতে যাচ্ছে।

এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অকৃত্রিম। আমরা একই অঞ্চলের অধিবাসী। একই জলবায়ু, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশীদার। ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়বে। বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, উৎপাদনমুখী বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

‘ভারতীয় কোম্পানি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ সুযোগটি কাজে লাগাবে। এটি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গেম চেঞ্জার।

তিনি আরো বলেন, ‘যেকোনো সম্পর্কে অর্থনৈতিক বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ আরও বাড়লে সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে।’

ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মাহিন্দ্রা ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টের নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর করে বেজা।

বেজার পক্ষে মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. মোখলেসুর রহমান ও ভারতের মাহিন্দ্রা ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার শ্রীনিভাসান চুক্তিতে সই করেন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘এ উদ্যোগ এক বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনা। একটি পরিকল্পিত ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির মাধ্যমে এর সফল পরিসমাপ্তি ঘটবে।’

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ বাড়াবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা, এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং মাহিন্দ্রা ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

৯০০ একর জমির ওপর ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে জিটুজিভিত্তিক দ্বিতীয় প্রকল্প।

২০১৫ সালের জুনে এ জন্য দুই দেশের সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ভারতীয় নমনীয় ঋণ এলওসি-৩-এর আওতায় ১১৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।

প্রকল্পের মূল কাজ ভূমি উন্নয়ন, সংযোগ সড়ক, প্রশাসনিক ভবন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, টেলিকমিউনিকেশন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টসহ অন্য বিনিয়োগবান্ধব স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।

এর ডিজাইন ও সুপারভিশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মাহিন্দ্রা ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টকে নিয়োগ দেয় বেজা। এতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাহিন্দ্রা ইঞ্জিনিয়ারিং পাবে ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আর ভারতীয় কোম্পানি আদানী পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেড ভারত সরকারের নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডেভেলপার হিসেবে কাজ করবে।

এ জন্য ১ এপ্রিল ভারতের আদানী পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেডের সঙ্গে একটি টার্ম শিট চুক্তি সই করেছে বেজা।

এ বিভাগের আরো খবর