বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাজেক-সিলসুরি সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপনে অগ্রগতি

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৪৬

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ২২-২৫ এপ্রিল ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরাম সফর করে। সফরের শেষ দিন সোমবার সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি ইস্যুতে বৈঠক শেষে দুই পক্ষ একটি জয়েন্ট স্টেটমেন্টে স্বাক্ষর করেছে।

ভারতের স্বায়ত্তশাসিত অঙ্গরাজ্য মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই রাজ্য সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তকেন্দ্রিক ভবিষ্যৎ যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। সে লক্ষ্যে রাজ্য সরকার থেকে উভয় দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থান সিলসুরি-সাজেক এলাকায় একটি বর্ডার হাট স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে বেশ আগেই। এ ছাড়া মালামাল পরিবহন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং নৌপথ ব্যবহারেরও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ সরকার। মিজোরাম রাজ্য সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে আলোচনায়ও সম্মতি দেয় বাংলাদেশ। তারই অগ্রবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ২২-২৫ এপ্রিল মিজোরাম সফর করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

সফরকালে মিজোরাম রাজ্য সরকারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী লালথাংলিয়ানাকে সঙ্গে নিয়ে বর্ডারহাট স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। মিজোরামের চিফ মিনিস্টার পো জোরামথাঙ্গা এবং রাজ্যসভার স্পিকার লালরিনলিয়ানা সাল্লোর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় তারা উভয় দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

সবশেষ সোমবার টিপু মুনশি ও লালথাংলিয়ানার মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি ইস্যুতে বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ একটি জয়েন্ট স্টেটমেন্টে স্বাক্ষর করেন। পরে মিজোরাম রাজ্য সরকার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে যেসব সমস্যা ও করণীয় রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি।

‘ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য মিজোরাম সীমান্তে একটি বর্ডার হাট স্থাপন করা হবে। মিজোরামের সিলসুরি এবং বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার সাজেকে এই বর্ডার হাট স্থাপনের বিষয়ে মিজোরামের দেয়া প্রস্তাব খুবই ইতিবাচক। বাংলাদেশও চায় এটা হোক।’

টিপু মুনশি জানান, মিজোরামে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক, নির্মাণসামগ্রী, প্লাস্টিক ও খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের বড় বাজার তৈরি হয়েছে। অপরদিকে মিজোরামের পাথর, হলুদ, আদা, মরিচ ও বাঁশের চাহিদা আছে বাংলাদেশে। তাই সিলসুরি-সাজেক এলাকায় বর্ডার হাট বসলে দুপক্ষে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বাণিজ্যি-বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌপথ ব্যবহারের প্রস্তাব সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লুসাই পাহাড়ের অবস্থান মিজোরামে। কর্ণফুল নদী লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ পথেও পণ্য পরিবহন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। এরপর আবারও আলাপ-আলোচনা করে উদ্যোগ নেয়া হবে।’

বর্ডার হাটের বিষয়ে মিজোরামের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী আর লালথাংলিয়ানা বলেন, ‘এখানে বর্ডার হাট স্থাপন হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। দুদেশের মানুষেরও আগ্রহ রয়েছে। এতে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং বাণিজ্যের সম্ভাবনা বাড়বে।

‘বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌপথ ব্যবহার করে উভয় দেশের মালামাল পরিবহন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর