বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুলাইতে চালু হচ্ছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৫৬

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম শাহজাহান বলেন, ‘পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টিইইউএস একক কনটেইনার ওঠানামা করতে পারবে। ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এবং ২২০ মিটার দীর্ঘ ডলফিন জেটিতে একটি তেলবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে।’

চলতি বছরের জুলাইয়েই পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। টার্মিনালের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে রোববার বিকেলে মতবিনিময় সভার আয়োজন হয়। সেখানে পতেঙ্গা টার্মিনালের বিষয়ে কথা বলেন বন্দর চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টিইইউএস একক কনটেইনার ওঠানামা করতে পারবে। ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এবং ২২০ মিটার দীর্ঘ ডলফিন জেটিতে একটি তেলবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সহসাই বন্দরের জেটিতে ২০০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। বর্তমানে বন্দরে জেটিগুলোয় জোয়ারের সময় গড়ে ৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এবং সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ভিড়তে পারে।’

সভায় বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (নৌ প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান, সদস্য (অর্থ) কামরুল আমীনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যান শাহজাহান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২১ সালে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার একক টিইইউএস। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। এদিকে গত বছরে জেনারেল কার্গো ওঠানামা করেছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ টন।

‘এ ছাড়া ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে ৪ হাজার ২০৯টি জাহাজ ভিড়েছে। এর প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১৩ শতাংশ। একই সঙ্গে বন্দর দিয়ে কয়লা, সিমেন্ট ক্লিংকার, লৌহজাত পণ্য, পাথর ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মেশিনারিজ ওঠানামা গড়ে ৮ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

গত এক দশকে বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি সম্ভব হয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটার ইয়ার্ড নির্মাণ করার কারণে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং এলাকায় ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড এবং সদরঘাট এলাকায় ৭৫ মিটার লাইটারেজ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। বন্দরের জলসীমা সাত নটিক্যাল মাইল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইলে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বন্দরের জলসীমা সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর