বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাইম ব্যাংকেরও দারুণ প্রথম প্রান্তিক

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:১০

২০১৬ সাল থেকে চাপে থাকা ব্যাংকটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে। তবে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বছর শেষে আয় তুলনামূলক কম ছিল।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে আকর্ষণীয় আয় করলেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে প্রাইম ব্যাংকের।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই ব্যাংকটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৯২ পয়সা আয় করার কথা জানিয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।

রোববার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে প্রথম প্রান্তিকের এই হিসাব পর্যালোচনার পর প্রকাশ করা হয়।

এর আগে এনসিসি ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে আয়ের হিসাব প্রকাশ করে। দুটি ব্যাংকেরই আয় বেড়েছে। এর মধ্যে মার্কেন্টাইলে প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ৪৪ শতাংশের বেশি।

২০১৬ সাল থেকে চাপে থাকা ব্যাংকটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয় করেছে। তবে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বছর শেষে আয় তুলনামূলক কম ছিল।

শেষ পর্যন্ত তাদের আয় ছিল শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৮৭ পয়সা, যা প্রথম প্রান্তিকের আয়ের দ্বিগুণের কিছুটা বেশি।

চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে যে আয় হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতা চালু থাকলে বছর শেষে আয় গত বছরের আয়কে ছাড়িয়ে যাবে, যদিও প্রতিটি প্রান্তিকে একই পরিমাণ আয় হবে- এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।

প্রাইমের শেয়ারপ্রতি সম্পদ বৃদ্ধির হারও বেশ আকর্ষণীয়। গত ডিসেম্বরে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২৫ টাকা ১৫ পয়সা সম্পদ থাকা ব্যাংকটির তিন মাস পর সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৩৬ পয়সা।

২০০০ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি বেসরকারি খাতের বেশ শক্তিশালী কোম্পানি হিসেবে পরিচিতি ছিল। তবে ২০১৬ সালের পর থেকে ব্যাংকটি বেশ চাপে পড়ে।

ওই বছর ব্যাংকটির আয় ছিল শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ১৬ পয়সা, যা পরের বছর আরও কমে দাঁড়ায় ১ টাকা ১৮ পয়সা।

২০১৯ সালে আয় কিছুটা বেড়ে হয় শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯৯ পয়সা, পরের বছর আবার তা কমে হয় ১ টাকা ৪৭ পয়সা। ২০২০ সালে করোনার প্রথম বছরে সেখান থেকে কিছুটা বেড়ে আয় হয় ১ টাকা ৬১ পয়সা। গত বছর এখান থেকে লাফ দিয়ে ৩ টাকা ছুঁইছুঁই হয়ে যায়।

আয় কমার প্রভাব পড়ে ব্যাংকটির লভ্যাংশেও। ২০১১ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে আসা ব্যাংকটি ২০১২ সাল থেকে লভ্যাংশ কমাতে থাকে।

গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ এসেছে এবারই। তবে এই ব্যাংকটি এখন বোনাসের বদলে নগদ লভ্যাংশে জোর দিয়ে আসছে। এবার বিনিয়োগকারীদের তারা শেয়ারপ্রতি দেবে ১ টাকা ৭৫ পয়সা।

ব্যাংকটির শেয়ারদর বর্তমানে ২১ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর