বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেয়ারদর ১৫ টাকা, লভ্যাংশ ১৬ শতাংশ

  •    
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৪৭

এনসিসি ব্যাংক পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের যে লভ্যাংশ দেয়া হবে তার মধ্যে ১২ শতাংশ দেয়া হবে নগদে, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি তারা পাবেন ১ টাকা ২০ পয়সা করে। বাকি ৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে চারটি পাওয়া যাবে বোনাস শেয়ার।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স বা এনসিসি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে লভ্যাংশ কিছুটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার তারা বিনিয়োগকারীদের নগদ ও বোনাস শেয়ার মিলিয়ে ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে, যা আগের বছর ছিল ১৫ শতাংশ।

শনিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের যে লভ্যাংশ দেয়া হবে তার মধ্যে ১২ শতাংশ দেয়া হবে নগদে, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি তারা পাবেন ১ টাকা ২০ পয়সা করে। বাকি ৪ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে চারটি পাওয়া যাবে বোনাস শেয়ার।

ব্যাংকটির শেয়ারদরের তুলনায় লভ্যাংশ এতটাই ভালো এসেছে যে, এই মুহূর্তে ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা রাখার চেয়ে শেয়ার কেনাই বেশি লাভজনক।

আগের বছর বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ৭ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার ও নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনাভাইরাসজনিত কারণে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যাংকটি আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি আয় করতে পারে।

এই সময়ে এনসিসির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ২ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ২০ পয়সা। আয় বেড়েছে ২৬ পয়সা বা ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আয়ের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে এনসিসির। ডিসেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২০ টাকা ৬১ পয়সা।

এনসিসি ব্যাংকের শেয়ারদর বর্তমানে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারদরের ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ পাওয়া যাবে লভ্যাংশ হিসেবে, যা এই মুহূর্তে ব্যাংকে সঞ্চয় করার চেয়ে লাভজনক। ব্যাংকে টাকা রাখলে বছরে মুনাফা পাওয়া যায় সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ।

এক বছর ধরে ব্যাংকটির শেয়ারদর ১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৯ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।

ছয় বছর ধরেই এনসিসি ব্যাংকের লভ্যাংশ এভাবে এফডিআরের মুনাফার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।

২০১৬ সালে ব্যাংকটির বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ পেয়েছেন ১ টাকা ৬০ পয়সা, পরের বছর ১ টাকা ৩০ পয়সা। ২০১৮ সালে মুনাফা পাওয়া গেছে শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা, সঙ্গে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার।

২০১৯ সালে এনসিসি বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি দেড় টাকা নগদের পাশাপাশি ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে। ২০২০ সালে লভ্যাংশ এসেছে শেয়ারপ্রতি ৭৫ পয়সা, সঙ্গে প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস।

যারা এবার লভ্যাংশ নিতে চান তাদের আগামী ৮ জুন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১১ আগস্ট।

এ বিভাগের আরো খবর