বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার ভিন্ন পেক্ষাপটে ডেনিম এক্সপো

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২২ ২০:২৭

আগামী ১০ মে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হবে। এটি ১২তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো। করোনার কারণে দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনী।

মহামারি করোনার পর ভিন্ন পেক্ষাপটে বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবার। রপ্তানি বাড়ায় ফুরফুরে মেজাজে আছেন পোশাক শিল্পমালিকরা। তাই এবারের আয়োজনটিও বড় করে করতে চান আয়োজকরা। লক্ষ্য নতুন ব্যবসা, আরও বেশি রপ্তানি।

আগামী ১০ মে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী রাজধানী ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হবে। এটি ১২তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো। করোনার কারণে দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো।

প্রদর্শনীতে ৭৯টি দেশি-বিদেশি ডেনিম কাপড়, পোশাক, সুতা, মেশিন ও সরঞ্জাম উৎপাদক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে। এবারের আয়োজনে করোনা-পরবর্তী নতুন বিশ্বে ডেনিম ব্যবসার চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের ওপর আলোকপাত করা হবে। সেটির অংশ হিসেবে প্রদর্শনী চলাকালে চারটি সেমিনার ও দুটি প্যানেল আলোচনা থাকবে।

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই বছর আগে যখন বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তখনকার সময় থেকে বর্তমান সময় আমাদের সবার জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। করোনা মহামারি ডেনিম সাপ্লাই চেইনকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। মহামারি আমাদের শিখিয়েছে টেকসই ব্যবসার গুরুত্ব সর্বাগ্রে রাখতে। তৈরি পোশাকের ক্রেতারাও আগের যেকোনো সময় থেকে এখন টেকসই ব্যবসার ব্যাপারে বেশি সচেতন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর এবারের সংস্করণে সারা বিশ্ব থেকে ডেনিম অংশীদারজন একই ছাদের নিচে সমবেত হয়ে আগামী দিনে টেকসই ডেনিম ব্যবসা নিশ্চিতকরণে তাদের মতামত প্রদান করবেন, যা বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

‘মহামারির পর আমাদের রপ্তানি বেড়েছে ঠিক। কিন্তু কাঁচামালের দাম বেড়ে গেছে। জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে অত্যধিক। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোও নানা সমস্যায় জর্জরিত। সব মিলিয়ে বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা প্রদর্শনীতে আসার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে আছেন। আশা করছি, এবারের প্রদর্শনী ডেনিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও অন্যদের একটি পুনর্মিলনী হবে। সেই সঙ্গে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের নতুন ব্যবসা পাওয়ার সুযোগও মিলবে।’

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর এবারের মূল প্রতিবাদ্য হচ্ছে ‘বিওন্ড বিজনেস’। করোনা-পরবর্তী নতুন বিশ্বে ডেনিম ব্যবসার চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের ওপর আলোকপাত করা হবে প্রদর্শনীতে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হলেও ডেনিম রপ্তানিতে প্রথম।

ডেনিম পোশাকের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ডিজেল, কেলভিন ক্লেইন, জি স্টার, লেভির মতো বড় সব ব্র্যান্ড বাংলাদেশের ডেনিমের ক্রেতা। বিশ্ববাজারে চাহিদা তৈরি করতে সক্ষম হওয়ায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ধরনের মূল্য সংযোজন করছে ডেনিম। প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানি আয়ে ডেনিমের অবদান এখন ১৫ শতাংশের বেশি।

পোশাকের বাইরেও অন্য কিছু পণ্যেও ডেনিমের ব্যবহার আছে। কয়েক বছর ধরে এ পোশাকের কল্যাণেই তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সুবাতাস বইছে বলে জানিয়েছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

এই আয়ের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার বা ৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর