নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে আবাসন শিল্পে কালো ছায়া পড়েছে। এতে ফ্ল্যাটের দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। এটা দেশের আবাসন খাতে আরও ক্ষতি ডেকে আনবে। এর মধ্যে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে এ সংকট আরও বাড়বে।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন একথা বলেছেন।
মঙ্গলবার আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আলোচনায় বক্তব্য দেন তিনি।
ঢাকা সেনানিবাসের সেনা মালঞ্চে (কনভেনশন হল) এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্তেখাবুল হামিদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) কামাল মাহমুদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ নজরুল ইসলাম (দুলাল), ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ লায়ন শরীফ আলী খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানাসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি আবাসন শিল্পে আবারও কালো ছায়া তৈরি করেছে। এর মধ্যে ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে এ সংকট আরও বাড়বে। ড্যাপের অনেক কিছুই ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। ঢাকা শহর গড়ে তুলতে আবাসন ব্যবসায়ীদের অনেক অবদান রয়েছে। তারা এর খারাপ চাইতে পারেন না।’
আবাসন খাতের সংকট মোকাবেলায় আসন্ন জাতীয় বাজেটে বিনা প্রশ্নে অপ্রদশির্ত অর্থ বিনিয়োগ, সেকেন্ডারি বাজার ব্যবস্থা প্রচলন এবং একটি বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানান তিনি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ আবাসনের জন্য বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আবাসন খাতে নানা সমস্যা রয়েছে। ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সেসবের সমাধান করা হবে। আবাসন এবং লিংকেজ শিল্পরক্ষায় সরকার কাজ করবে। ড্যাপ নিয়ে আরও কাজ হবে। তবে ব্যবসায়ীদেরকে ড্যাপ মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন তৈরি করতে হবে।’
ইন্তেখাবুল হামিদ বলেন, ‘নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে নতুন প্রকল্পে ৫০:৫০ রেশিওতে ডেভেলপারের জন্য প্রতি বর্গফুটে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এজন্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’