বিশ্বের ব্যস্ততম ১০০টি সমুদ্রবন্দরের তালিকায় ৯ ধাপ পিছিয়ে ৬৭তম অবস্থানে নেমে এসেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর।
সেবা সক্ষমতা, কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রভৃতি সূচকের ভিত্তিতে সোমবার রাতে এ তালিকা প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিং-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম লয়েডস।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, মহামারি করোনার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের ধারাবাহিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক বছরের অগ্রগতি থামিয়ে দিয়েছে করোনা। এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার পোর্টের তালিকায় ৯ ধাপ পিছিয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটি।
২০২০ সালে এ তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮তম।
লয়েডসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বে ৬৩ কোটি ২০ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। আর একই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন কমেছে ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গত ৭ বছর বৈশ্বিক ক্রমতালিকায় এগিয়ে যাচ্ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। এবার করোনার কারণে হোঁচট খেল।
লয়েডস তালিকায় বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই। পরের অবস্থানে সিঙ্গাপুর বন্দর।
জাহাজ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরের সার্বিক অগ্রগতি ঠিক আছে। বাণিজ্য কমাতে পরিবহন কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, এটা বন্দরের সক্ষমতার অভাব নয়। করোনার কারণে বিশ্বের বড় বড় বন্দর দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাই এটাকে স্বাভাবিক পিছিয়ে পড়া বলা যাবে না।
১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন শুরু হয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কনটেইনার পরিবহনেও সার্বিক অগ্রগতি আসে গত এক দশকে।