দুই মাস পর দেশের বাজারে সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ৫১৬ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রোববার থেকে এ দর কার্যকর হয়েছে।
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে সর্বশেষ গত ২০ জুন মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ভরিতে দেড় হাজার টাকা করে কমানো হয়েছিল।
বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী, রোববার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি গ্রাম বিক্রি হবে ৬ হাজার ৩০০ টাকায়। একইভাবে প্রতি গ্রাম ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম হবে ৬ হাজার ৩০ টাকা।
১৮ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম ৫ হাজার ২৮০ টাকা এবং সনাতনী পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণ ৪ হাজার ৩৯৫ টাকায় বিক্রি হবে।
নতুন দর অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হবে ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা। শনিবার পর্যন্ত এ মানের স্বর্ণের দাম ছিল ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি বিক্রি হবে ৭০ হাজার ৩৩৪ টাকায়। শনিবার পর্যন্ত দাম ছিল ৬৮ হাজার ৮১৮ টাকা।
আর ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৬১ হাজার ৫৮৬ টাকা। শনিবার পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার ৭০ টাকায়।
প্রতি ভরি সনাতনী স্বর্ণের নতুন দাম হবে ৫১ হাজার ২৬৩ টাকা। গত দুই মাস বিক্রি হয়েছে ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। আগের মতোই দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা।
ধাতুটির ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ হাজার ২২৫ টাকা ও সনাতনী প্রতি ভরি ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হবে।
গত এপ্রিল ও মে মাসজুড়ে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাজুস।
পরে ২০ জুন সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫১৬ টাকা করে কমানো হয়েছিল। রোববার একই পরিমাণ করে বাড়িয়ে আগের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজুস।
এবার স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস জানায়, করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকা, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক জটিলতা (উপকরণ কর রেয়াত) এবং নানা ধরনের দাপ্তরিক জটিলতার কারণে গোল্ড ডিলাররা স্বর্ণের বার আমদানি করতে পারছে না। তা ছাড়া চাহিদার বিপরীতে জোগান কম থাকায় দেশীয় বুলিয়ান/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমা নির্ভর করে বিশ্ববাজারের ওপর। বিশ্ববাজারে বাড়লে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়। ঠিক তেমনি বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও কমে স্বর্ণের দাম।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবশেষ স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পর এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পুনরায় কমেছে। সেই হ্রাসকৃত দামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারেও এখন স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ানো হলো।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুস নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী স্বর্ণ বিক্রির অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।