চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে দ্রুত বে-টার্মিনাল নির্মাণ শেষ করে ২০২৪ সালের মধ্যে অপারেশনে যেতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামের আনন্দবাজারে সাগরতীরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প ঘুরে দেখে এ কথা জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বে-টার্মিনাল হবে। ২০২৪ সালে বে টার্মিনালের অপারেশন শুরু করতে চাই।’
বে-টার্মিনালে মোট তিনটি টার্মিনাল থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর একটি চট্টগাম বন্দর করবে। বাকি দুটি টার্মিনাল বৈদেশিক বিনিয়োগে হবে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে, যাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়, তাদেরকে বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করতে দেয়া হবে।’
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
বে-টার্মিনালকে বৈরি আবহাওয়া এবং সাগরের বড় ঢেউ থেকে রক্ষায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ব্রেক ওয়াটার’ তৈরি করা হবে। বে-টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার।
নির্মাণাধীন এই বে-টার্মিনালের পরিধি চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ। ফলে সেখানে ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে।
বে-টার্মিনাল নির্মাণে প্রাথমিকভাবে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ৮৭০ একর জমির প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে।
ব্যাক্তি মালিকানাধীন ৬৬ একর জমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি খাস জমি ৮০৩ একর অধিগ্রহণে মিলেছে চূড়ান্ত অনুমোদন। বাকি ১৬২৯ একর জমি বে-এরিয়া হতে রিক্লেইম করা হবে বলেও জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।