ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। এ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন’ (কেইসি)।
অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত দর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভার্চুয়াল সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কেওআইসিএ) অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) কার্যক্রম পরিচালনা এবং এক্সপ্রেসওয়ের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে নিয়োগের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও তিনটি ব্রিজ রয়েছে। গাড়িগুলোকে সমন্বিতভাবে এক জায়গায় টোল দিতে হবে।
গাড়ির সামনে একটি স্টিকার থাকবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেটি স্ক্যান করে যানবাহনের মালিকের হিসাব থেকে টোলের অর্থ কেটে নেয়া হবে। এর জন্য গাড়ি থামানোর প্রয়োজন হবে না।
তিনি আরও বলেন, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটি এ কাজে খুবই অভিজ্ঞ। এ প্রতিষ্ঠান তাদের দেশে ৪ হাজার ১১২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ও ১ হাজার ৩২৯ কিলোমিটার ব্রিজের টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। পরে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানান তিনি।