ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামীকাল তাকে কোর্টে পাঠানো হবে।
গুলশান এলাকা থেকেই আমানুল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান থানার ডিউটি অফিসার আনোয়ার হোসেন।
প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১ শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীর করা মামলায় আমানুল্লাহ তিন নম্বর আসামি। একই মামলার দুই আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
তারা হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান।
সোমবার রাতে সোনিয়া ও মাসুকুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলাটি করেন তাহেরুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক। মামলা করার সময় আরও ৩৭ জন গ্রাহক উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্লাহ, বিথী আক্তার ও কাওসার। প্রতিষ্ঠানটির সব মালিককেও এতে আসামি করা হয়। তবে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলায় তাহেরুল অভিযোগ করেন, তিনি গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে, সময় চেয়েছে, কিন্তু পণ্য বা টাকা ফেরত দেয়নি।
তিনি জানান, সবশেষ তারা (ই-অরেঞ্জ) গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও দেয়া হয়নি। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন আউটলেটের যে গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিলেন, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘এই করোনাকালীন সময়ে আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এ ছাড়া আজ পর্যন্ত কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ গ্রাহকের প্রায় ১১ শ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।’